পটুয়াখালী সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পটুয়াখালীর বাউফলে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে বিলম্ব হচ্ছে। আবার নমুনা দিতে গিয়েও অনেকে দুর্ভোগের মুখোমুখি হচ্ছেন।
অভিযোগ রয়েছে, বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন ২৫-৩০ জন নমুনা প্রদানের আসলেও সর্বোচ্চ ৮ থেকে ১০টির বেশি নমুনা সংগ্রহ করা হয়না। নমুনা দেয়ার পরে যথাসময়ে রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছেনা। রিপোর্ট প্রদানে ৮-১০ বিলম্ব করা হয়। কালিশুরী গ্রামীণ ব্যাংকে চাকরী করেন বশির আহম্মেদ ও সুমাইয়া আক্তার, তারা দুই জন সন্দেহভাজন হিসাবে ১০ দিন আগে নমুনা দিয়েছেন। অথচ এখন পর্যন্ত তাদের রিপোর্ট আসেনি। সূত্র জানায়, জেলা সিভিল সার্জন অফিসের একজন সিনিয়র ল্যাব টেকনেশিয়ান ও একজন ডিএসআইর খামখেয়ালীপনার কারণে রিপোর্ট পেতে বিলম্ব হচ্ছে। তারা সংগ্রহিত নমুনা যথাসময়ে আরটিপিসিআর টেস্টের জন্য পাঠাননা। এ কারণে অনেক নমুনার কার্যকরীতা নষ্ট হয়ে যায়। সিনিয়র ল্যাব টেকনেসিয়ান রফিকুল ইসলামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলা সদরে হওয়ায় তিনি স্বজন প্রীতি করেন। ভিআইপি ও আত্মিয় স্বজনদের প্রধান্য দিতে গিয়ে উপজেলার নমুনাগুলো পাঠাতে বিলম্ব করেন। তবে বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
বাউফলে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৭ জন মারা গেছেন, উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৫ জন, আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ জন। সোমবার পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৯৭ জনের। রিপোর্ট এসেছে ৩১৩ জনের। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ আখতারুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।পটুয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ জাহাঙ্গির আলম বলেন,‘সারা দেশেই একই সমস্যা। নমুনা পরীক্ষার হার বেশি হওয়ায় রিপোর্ট পেতে একটু বিলম্ব হচ্ছে। তার কর্যালয় থেকে নমুনা পাঠাতে কালক্ষেপণ করা হয়, এমন অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, ‘ আরটিপিসিআরের ক্যাপাসিটি হিসাব করে নমুনা পাঠাতে হয়। অতিরিক্ত নমুনা পরীক্ষার জন্য প্রক্রিয়াজাত করে সিরিয়াল অনুযায়ি পাঠানো হয়।’
এডি/এমআর