দশমিনায় জীর্ণভিটায় অসহায় মিনারা’র মানবেতর জীবন

প্রথম পাতা » সর্বশেষ » দশমিনায় জীর্ণভিটায় অসহায় মিনারা’র মানবেতর জীবন
সোমবার ● ৯ ডিসেম্বর ২০১৯


দশমিনায় জীর্ণভিটায় অসহায় মিনারা’র মানবেতর জীবন

দশমিনা (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় জরাজীর্ণ বসতঘরে দীর্ঘ ১৭বছর যাবৎ মানবেতর জীবন-যাপন করছে অসহায় হতদরিদ্র মিনারা’র পরিবার। স্বামী হারা পরিবার খেয়ে না খেয়ে জরাজীর্ন অবস্থায় মানবতায় জীবন যাবন করে।

জানা যায়, উপজেলার বাঁশবাড়িয় ইউনিয়নের দক্ষিন বাঁশবাড়িয়াা গ্রামের মৃত কাঞ্চন আলী খাঁ’র স্ত্রী মিনারা বেগম ২কন্যা সন্তান নিয়ে একটি মোটামুটি ভালো আশ্রয়স্থল এর অভাবে বহু বছর ধরে জরাজীর্ণ বসতঘরে মানবেতর জীবন-যাপন করে আসছেন।

এলাকাবাসী জানান, মিনারার পরিবার গরীব অসহায় লোক। মানুষের বাসায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। বসত ভিটার প্রায় ২শতাংশ জমি ছাড়া তার নিজের কোন জমি নেই। তার ২মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে অর্থের অভাবে লেখাপড়া বাধ দিয়েছে। ছোট মেয়ে মাদ্রাসা দিয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী। বর্তমানে মিনারার বসত ঘরখানা খুবই জরাজীর্ন অবস্থায় আছে। বসত ঘর ভাংগা পুরাতন টিন ও পলিথিন দিয়ে ঢাকা। বর্ষার সময় ঘরের ছাউনী থেকে পানি পড়ে বাশঁ, খুটি, বিছানাসহ সব কিছু ভিজে নষ্ট হয়ে যায়। একটু বন্যা হলেই ঘরটি পরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঝড় বন্যা হলে অন্যের ঘরে আশ্রয় নিতে হয় মিনারার পরিবারের। এ অবস্থায় মিনারার মেয়েদেরকে নিয়ে খুবই মানবেতর ভাবে জরাজীর্ণ বসতঘরে জীবন-যাপন করছেন।

মিনারা জানান, বর্ষা কালে ঘরে পানি পড়ে বলে সারা রাত ঘরের এক কোনায় জেগে রাত কাটাতে হয়। আর এই ভেজা স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে বেশি করে অসুস্থ করে দিচ্ছে তাদের। অর্থিক অবস্থা ভাল না হওয়ায় ঠিক মত ঔষুধ কেনা হয় না তাদের। বর্তমানে তাদের ভাঙ্গা ঝুপড়ি নিয়ে বেশ চিন্তিত। কারন রোদ বৃষ্টি কোন মৌসুমেই ঠিক মত থাকতে পারেন না। খেয়ে না খেয়ে থাকা যায় কিন্তু আশ্রয়স্থল যদি ঠিক না থাকে তাহলে দিন-রাত পার করা খুব মুসকিল । স্থানীয় মেম্বার-চেয়ারম্যানের কাছে একটি ঘরের জন্য করেও আজ পর্যন্ত বসত ঘর পাইনায়।

এসবি/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৬:১৮:১৯ ● ৬০৩ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ