মেজবাহউদ্দিন মাননু, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) অফিস॥
বানাতিপাড়া বেড়িবাঁধ থেকে রাবনাবাদ পাড়ের চারিপাড়া প্রাইমারি স্কুল পর্যন্ত সড়কটির দূরত্ব হবে অন্তত দেড় কিলোমিটার। ইট বিছানো এ সড়ক দিয়ে ওই এলাকার শত শত জেলে, কৃষক পরিবারের মানুষসহ তাঁদের সন্তানরা নির্বিঘেœ চলাচল করত। মোটরসাইকেলসহ যানবাহন চলাচল করত। চিরচেনা ওই সড়কটি এখন সেখানকার মানুষের কাছে অচেনা হয়ে গেছে।
সিডরের তান্ডবের পরে লালুয়া ইউনিয়নের চারিপাড়া পয়েন্টে বেড়িবাঁধ জলোচ্ছ্বাসে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। ভেসে যায় মানুষের বাড়িঘরসহ সড়কটির অধিকাংশ ইট। এরপরে ভেঙ্গে যাওয়া বিভিন্ন পয়েন্টে স্থানীয়রা নিজেদের উদ্যোগে ১৪টি সাঁকো দেয়। মাত্র দেড় কিমি এ সড়কে এখন কাদামাটির পরও ১৪টি সাঁকো পার হতে হয় মানুষকে। স্কুলগামী ছোট্ট শিশুরা ওই সড়কে চলাচল করতে পারছে না। ওখানকার বাসিন্দা ফোরকান প্যাদা জানান, ১৯৯৮ সালে এ সড়কটি ইট বিছিয়ে দেয় সরকার। এর পরে সিডরে বিধ্বস্ত হলে এক যুগে আর মেরামত করা হয়নি। নদীর পাড় পর্যন্ত কাঁচা অংশ নিয়ে প্রায় দুই কিমি হবে এসড়কটি এমন দাবি ফোরকান প্যাদার। আর কবে মেরামত হবে তা জানেন না ওই এলাকার মানুষ। অধিকাংশ মানুষ চলাচল করে নৌকায়। স্বাভাবিক জোয়ারও এখন ওখানকার মানুষের কাছে দূর্যোগ মনে হয়। ইট ছিল এমনটা বোঝা যায়। কিন্তু ৮০ ভাগ ইট উধাও হয়ে গেছে।
মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন জানান, এখন আমরা আশা ছেড়ে দিয়েছি। এটি আর সংস্কার কিংবা মেরামত কেউ করবে না। ছয় বছরের শিশু জুনায়েদের ভাষায় রাস্তায় হাক্কার (সাঁকো) অভাব নাই। চারিপাড়া, নয়াকাটা, চৌধুরীপাড়া, নাওয়াপাড়াসহ পাঁচ গ্রামের মানুষের কাছে এখন এ সড়কটি অচেনা মনে হয়। বর্তমানে ওই এলাকা পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ অধিগ্রহণ করেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধ না করলে পানিতে সব নষ্ট হয়ে যাবে, তাই এলজিইডি ডিপর্টিমেন্ট এ সড়কের কোন কাজ করছে না বলে জানালেন উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান। তবে স্থানীয়দের দাবি এ সড়কটিতে এখন দুই-তিন ফুট মাটি দিয়ে উচু করে দিলে ভোগান্তি লাঘব হতো।
এমইউএম/এমআর