আমতলীতে মোবাইল চুরির অপবাদে বৃদ্ধাকে পিটিয়ে জখম

প্রথম পাতা » বরগুনা » আমতলীতে মোবাইল চুরির অপবাদে বৃদ্ধাকে পিটিয়ে জখম
শুক্রবার ● ১১ অক্টোবর ২০১৯


আমতলীতে মোবাইল চুরির অপবাদে বৃদ্ধাকে পিটিয়ে জখম

আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

বরগুনার আমতলী থানার সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) কাইয়ুমের বিরুদ্ধে রীনা বেগম (৫৫) নামের এক নারীকে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিবেশী বেলাল ওই বৃদ্ধাকে  মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে মারধর করে আমতলী থানায় নিয়ে যায়। ওই সময় ডিউটি অফিসার হিসেবে কর্র্মরত এ এএসআই কাইয়ুমও রীনা বেগমকে পিটিয়ে আহত করেন। বৃহষ্পতিবার রাতে তাকে বরগুনা জেনারেল হাসপতালে ভর্তি করা হয়।
জানাগেছে, আমতলী সদর ইউনিয়নের কড়াইবুনিয়া গ্রামের বেলাল মিয়ার বিয়ের অনুষ্ঠানে একটি মোবাইল চুরি হয়। ওই মোবাইলটি তালতলীতে একজনের কাছে খোঁজ পায়। রীনা বেগম ওই মোবাইলটি চুরি করে বিক্রি করেছেন এমন অপবাদ দিয়ে বেলাল ও তার পরিবারের লোকজন তাকে মারধর করে। পরে ওই নারীকে বেলাল আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোতাহার মৃধার কাছে নিয়ে আসে। চেয়ারম্যান রীনার মারধরের অবস্থা দেখে আমতলী থানায় সোপর্দ করেন। থানায় নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার এএসআই কাইয়ুম উত্তেজিত হয়ে রীনাকে বেধরক পেটাতে থাকে এবং মহিলা পুলিশ দিয়ে মারধর করান। এতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ছেড়ে দেয়। স্বজনরা তাকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করান। পরে পুলিশের ভয়ে ওই বৃদ্ধা আমতলী হাসপাতাল ছেড়ে বৃহস্পতিবার রাতে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত রীনা বেগম বলেন, বেলাল তার প্রতিবেশী। জমি-জমা নিয়ে বেলালে সাথে বিরোধ চলছে। এর জের ধরে বেলাল মোবাইল ফোন চুরির মিথ্যে অপবাদ দিয়ে আমাকে মারধর করে। পরে আমতলী থানায় নিয়ে এসে ফের পুলিশ দিয়ে বেধরক মারধর করায়।
এ ব্যাপারে প্রতিবেশী বেলালের সাথে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।
আমতলী থানার এএসআই কাইয়ুম প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করেন। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে রীনা বেগমের খোঁজ খবর নিতে আসেন। রীনা বেগম কাইয়ুমকে দেখেই বলেন, আপনিই তো আমারে লাঠি দিয়া পিটাইছেন, আপনি আমারে মারলেন কেন?  কাইয়ুম মারধরের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বৃদ্ধা রীনার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়ে তাকে ওষুধ ও পথ্য কিনে দিয়ে চলে যান।।
আমতলী থানার ওসি আবুল বাশার মুঠোফোনে বলেন, শুনেছি চেয়ারম্যানের ওখানে মোবাইল চুরি নিয়ে একটা ঝামেলা হয়েছিল। তবে থানায় কোনো পুলিশ অফিসার রীনা বেগমকে মারধর করেছে কিনা আমার জানা নেই। আমি এ বিষয়টি খোঁজ নিয়ে জানবো। যদি কোনো পুলিশ অফিসার এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকে তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এমএইচকে/এমআর

 

বাংলাদেশ সময়: ২১:২৬:০৫ ● ২৬২ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ