
সাগরকন্যা প্রতিবেদক, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী)
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে কৃষকদের মুখে ফুটেছে হাসি। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও হচ্ছে এবারে বাম্পার। তাই উপজেলার প্রতিটা কৃষক রোপা ও আমন ধানের ফলনে বেজায় খুশি। তারা ইতিমধ্যেই আগাম জাতের ধান কেটে মারাই করে ঘরে তুলতে শুরু করেছে কৃষকরা। শুরু হয়েছে মাঠজুড়ে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের মহোৎসব। উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, উপজেজেলার ৬টি ইউনিয়নে আমনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয় ১০ হাজার ৩৫ হেক্টর জমিতে। এবারে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশী জমিতে আমনের চাষাবাদ হয়েছে জানা গেছে। এরমধ্যে আমন স্থানীয় ৮ হাজার ৪২৬ হেক্টর ও আমন উফশি জাতের ১ হাজার ৬১০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। এতে ফসলে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৯ হাজার ২৯১ মেট্রিকটন(ফলন চালে দেখানো হয়েছে)। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়,উপজেলার প্রতিটি এলাকার মাঠ জুড়ে আমন ধানে মাঠ যানো সোনালী রংঙে ছড়িয়ে আছে। পাঁকা ধান কৃষকরা কেটে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন আমন মনে। কৃষক-কৃষাণীদের মুখে এবারে হাসি ঝলক। এখন কৃষকরা ব্যস্ত সময় কাটছে ধান তাদের নানা কাজে। উপজেলার কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের ফিরোজ আকন জানান,এবারের মতো আমন ধানের ফলন ৪-৫ বছরেও হয়নি। মাঠে ধানের ফলন দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। এবারে আবহাওয়া অনূকূলে থাকায় ফলন হয়েছে দ্বিগুন। উন্নত জাতের বীজ রোপন ও কৃষি বিভাগের পরামর্শে এবারে আশানুরূপ ফলন পেয়েছি। তারাবুনিয়া গ্রামের নিখিল বিশ্বাস বলেন, আমন ক্ষেতের দিকে তাকালে মন ভরে যায় ফলন দেখে। এবারে কৃষকরা অনেক খুশি। অনেক কৃষক জানিয়েছেন, আশানুরূপ ফলন হওয়ায় এবারে হেক্টর প্রতি খরচ বাদে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত লাভবান হওয়া যাবে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, আমন মৌসুমে আমনের ভালো ফলন হয়েছে। কৃষি বিভাগ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে এবং কৃষকদের আমন ধানের পোকামাকড় সম্পর্কে সচেতন করা হয়েছে। ফলে এবার আমন ধানের রোগবালাই কম তাই ফলন হয়েছে অধিক। আরো বলেন, যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ,অধিক ফলন উৎপাদন এবং রোগবালাই দমনে জৈবিক পদ্ধতি ব্যবহারে কৃষকদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে কৃষকদের। ফলে এবারের বাম্পার ফলনে সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করছি।
ইউজি/এমআর