আমতলীতে মাদ্রাসায় ‘মিলে মিশে নিয়োগ পরীক্ষা’ নিয়ে তোলপাড়!

হোম পেজ » লিড নিউজ » আমতলীতে মাদ্রাসায় ‘মিলে মিশে নিয়োগ পরীক্ষা’ নিয়ে তোলপাড়!
শনিবার ● ১ নভেম্বর ২০২৫


মিলে মিশে নিয়োগ পরীক্ষা-

সাগরকন্যা প্রতিবেদক, আমতলী (বরগুনা)

বরগুনার আমতলী উপজেলার কুতুবপুর ফাজিল মাদ্রাসায় শনিবার সকালে ক্লার্ক কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষের ছেলে এবং দাতা সদস্যের ছেলের স্ত্রী। অভিযোগ উঠেছে, আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত না করেই পুলিশ মোতায়েন শেষে লাল নিশান টানিয়ে পাতানো নিয়োগ পরীক্ষা নিয়েছে নিয়োগ বোর্ড।

বরগুনার কুকুয়া ইউনিয়নের কুতুবপুর ফাজিল মাদ্রাসা ৯ সেপ্টেম্বর ওই পদে ১১ জন প্রার্থীকে আবেদনপত্রে অন্তর্ভুক্ত করে। আজ শনিবার ৩৫ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় ৯ জন অংশ নেন। কিন্তু ফলাফল প্রকাশ না করে শুধুমাত্র অধ্যক্ষের ছেলে রেদওয়ানুল ইসলাম আবির আকন, দাতা সদস্যের ছেলের স্ত্রী আল্পনা আক্তার ও আরিফ নামের তিনজনের ভাইভা নেওয়া হয়। বাকিদের দুই ঘণ্টা বসিয়ে রেখে পরীক্ষা শেষ- ঘোষণা করা হয়।

পরীক্ষার্থী নাঈম ও সাবিনা অভিযোগ করেন, সাজানো পরীক্ষায় আল্পনাকে নিয়োগ দিতে আগেই মোটা অংকের টাকা নেওয়া হয়েছে। আমাদের লিখিত ফলাফলও জানানো হয়নি।

মাদ্রাসার দাতা সদস্য মোঃ আব্বাস মৃধা বলেন, আমি অফিস কক্ষে বসেছিলাম। আমার ছেলের বউ লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষা দিয়েছে। তবে কেউ আমাকে বসতে নিষেধ করেনি।

এদিকে, যোগাযোগের চেষ্টা করলেও অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ নিজাম উদ্দিন আকনের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ওই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ জিয়াদুল করিম সাগরকন্যাকে বলেন, ‘অভিযোগ থাকতেই পারে, তবে অনিয়ম হয়নি।’ মাদ্রাসা অধিদপ্তরের বোর্ড সদস্য মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমি পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম।’

আমতলী থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, পুলিশ আমি দিয়েছি। লাল নিশান টানার কারণ জানি না। আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রোকনুজ্জামান খাঁন বলেন, আমাকে অবহিত করা হয়নি। বিষয় খতিয়ে দেখার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এমএইচকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৭:৫৬:২৬ ● ৬২ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ