কুয়াকাটায় হোটেলের বর্জ্যে অস্বস্তিতে পর্যটক

হোম পেজ » কুয়াকাটা » কুয়াকাটায় হোটেলের বর্জ্যে অস্বস্তিতে পর্যটক
শুক্রবার ● ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫


হোটেল সি-ভিউ, এই হোটেল থেকেই অস্থায়ী পাইপ লাইন বসিয়ে প্রতি রাতে এভাবে বর্জ্য ফেলা  হয়।

সাগরকন্যা প্রতিবেদক, কুয়াকাটা (পটুয়াখালী)

সাগরকন্যা খ্যাত কুয়াকাটায় প্রতিদিন দেশি-বিদেশি হাজারো পর্যটক ভিড় জমালেও জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন হোটেল সি-ভিউয়ের কারণে অস্বস্তি বাড়ছে। অভিযোগ রয়েছে, হোটেলটি গভীর রাতে টয়লেটের বর্জ্য ও ময়লা পানি পাইপের মাধ্যমে সরাসরি সমুদ্রে ফেলছে। এতে সৈকতে ছড়িয়ে পড়ছে দুর্গন্ধ, ভোগান্তিতে পড়ছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও সমুদ্রস্নান করতে আসা পর্যটকরা।

সরেজমিনে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। প্রত্যাহ রাত আড়াইটার থেকে তিনটার মধ্যে হোটেলের পেছন দিক দিয়ে এসব বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। এর ফলে সকালে সৈকতে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হোটেলের সাবেক এক কর্মচারী জানান, প্রতি রাতেই এভাবেই বর্জ্য ফেলা হয় এবং এজন্য স্থানীয়দের সঙ্গে বহুবার ঝামেলায় পড়তে হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মিরাজ বলেন, গভীর রাতে সমুদ্রে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। ভোরে সৈকতে গেলে দুর্গন্ধ পাওয়া যায়। এতে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, স্বাস্থ্যঝুঁকিও তৈরি হচ্ছে।

শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে আসা পর্যটক নাহিয়ান খান বলেন, এত দূর থেকে কুয়াকাটা এসেছি, কিন্তু সৈকতে গিয়ে দুর্গন্ধে দাঁড়ানো যায় না। এভাবে ময়লা ফেলা হলে পর্যটকদের আগ্রহ কমে যাবে।

কুয়াকাটা উপকূল পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের (উপরা) সদস্য-সচিব আসাদুজ্জামান মিরাজ বলেন, এটি পরিবেশ আইনবিরোধী কাজ। সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না হলে সামুদ্রিক প্রাণীর অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে। পাশাপাশি পর্যটকদের সমস্যাও বাড়ছে। প্রশাসনের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া।

কুয়াকাটা ট্যুরিজম ব্যবসায়ী সমিতির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তারা চাচ্ছেন পর্যটন নগরীর পরিবেশ রক্ষা হোক। এ ধরনের অনিয়ম কুয়াকাটার ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে ওই হোটেলের ম্যানেজার সোলায়মান বলেন, টয়লেটের বর্জ্য নয়, প্রতি রাত আড়াইটার থেকে তিনটার মধ্যে গোসলের পানি বিচের বালুতে ফেলা হয়।

এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসীন সাদেক বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট হোটেলের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮:২৬:৫৭ ● ৯০ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ