ডেঙ্গুর সময়ে প্রধানমন্ত্রী-স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিদেশে থাকায় বোঝা যায় সরকার কত উদাসীন: মোশাররফ

প্রথম পাতা » রাজনীতি » ডেঙ্গুর সময়ে প্রধানমন্ত্রী-স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিদেশে থাকায় বোঝা যায় সরকার কত উদাসীন: মোশাররফ
বৃহস্পতিবার ● ১ আগস্ট ২০১৯


ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক শোভাযাত্রায় মোশাররফ

ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥

বর্তমান সরকার নির্বাচিত নয় দাবি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, জনগণের প্রতি এই সরকারের দায়বদ্ধতা নেই। তাই এই বন্যা ও ডেঙ্গুর সময়ে প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিদেশে থাকেন। এ থেকে বোঝা যায় সরকার কত উদাসীন। তিনি ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যর্থতার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি মেয়রের পদত্যাগ দাবি করেন।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আয়োজনে ঢাকা জজকোর্ট এলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক শোভাযাত্রার কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি করেন। খন্দকার মোশাররফ বলেন, এই সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য এবং জনগণকে সচেতন করার জন্য ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আজ এই শোভাযাত্রা আয়োজন করেছিলে। কিন্তু আমাদের এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি প্রশাসন পালন করতে না দেওয়ায় আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তিনি বলেন, যদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সিটি করপোরেশন সমন্বিতভাবে সঠিক পদক্ষেপ নিতো তাহলে ডেঙ্গু মহামারি আকার ধারণ করতো না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমি ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলাম, তখনও ডেঙ্গু ছিল। তখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সিটি করপোরেশন সমন্বিতভাবে প্রোগ্রাম নিয়েছি। প্রত্যেক সিজনের আগে ঢাকার তৎকালীন মেয়র সাদেক হোসেন খোকার সভাপতিত্বে আমরা সভা করে কৌশল নির্ধারণ করেছি এবং সফলও হয়েছি। তিনি বলেন, তখনও ডেঙ্গু ছিল কিন্তু ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমরা যেহেতু সচেতন ছিলাম তাই ডেঙ্গু এত মহামারী আকার ধারণ করতে পারেনি। এখনও সামনে দুই মাস রয়েছে।আমরা রাজনীতি করি সেই দায়িত্ববোধ থেকে আমরা সারা বাংলাদেশে জনগণকে সচেতন করার জন্য এই কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। এখনো যদি জনগণ সচেতন হয়, যার যারবাড়িতে স্বচ্ছ পানি আটকে থাকে সেই পানি যদি ফেলে দেয় এবং সরকার এখনও যদি সচেষ্ট হয় তাহলে কমিয়ে আনা সম্ভব। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় আমরা শুনেছি যে মশা নিধনের জন্য সিটি করপোরেশন থেকে যে ওষুধগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে আইসিডিডিআর,বি বিগত মার্চ মাসেই বলেছে এগুলোর কার্যকারিতা নেই। কার্যকর ওষুধ আনার জন্য হাইকোর্ট থেকে বলা হয়েছে। কালও জানতে চাওয়া হয়েছে কত দিনের মধ্যে কার্যকর ওষুধ আনা হবে?
তিনি বলেন, আমরা মনে করি এদেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন। সব ধরনের সংকট থেকে উত্তোরণ চাইলে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। এই গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে গণতন্ত্রের মা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবীব-উন-নবী খান সোহেল, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাবীবুর রশিদ হাবিব, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন, তানভির আহমেদ রবিন, ফরিদ উদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহিন, ঢাকা মহানগর শ্রমিকদলের সহ-সভাপতি সুমন ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান বাদল প্রমুখ।

এফএন/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২১:৫৮:৩০ ● ৩১১ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ