জেলেদের চাল বিতরণে অনিয়মচরফ্যাশনে ক্যাডারদের হাতে ট্যাগ কর্মকর্তা লাঞ্ছিত!

প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ » জেলেদের চাল বিতরণে অনিয়মচরফ্যাশনে ক্যাডারদের হাতে ট্যাগ কর্মকর্তা লাঞ্ছিত!
রবিবার ● ১৬ এপ্রিল ২০২৩


চরফ্যাশনে ক্যাডারদের হাতে ট্যাগ কর্মকর্তা লাঞ্ছিত!

চরফ্যাশন (ভোলা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

মৎস্য চাউল কম দেয়ার প্রতিবাদ করায় ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ক্যাডার বাহিনী দিয়ে হামালা হয়েছে। এতে তদারকী কর্মকর্তা ও সুবিধাভোগি কয়েকজন জেলেকে মারধরের অভিযোগ ওঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণআইচা থানার চর মানিকা ইউপি চেয়ারম্যান শফিউল্লাহ হাওলাদার রবিবার সকালে জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ করেন। তদারকি কর্মকর্তা উপজেলা সমবায় অফিসার আনোয়ার হোসেন চাল কম দেয়ার বিষয়টি নোট করেন এবং সুবিধাভুগি জেলে মো. হোসেন প্রতিবাদ করেন। এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান শফিউল্যাহ হাওলাদারের নেতৃত্বে তার ক্যাডার বাহিনী তদারিক কর্মকর্তাকে স্থান থেকে চলে যেতে বাধ্য করেন। পরে তার নিজের ইচ্ছে মত চাউল বিতরণ করার অভিযোগ রয়েছে। চাল মাপার অপরাধে ট্যাগ অফিসারকে মারধরের মত ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি মারধরের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
এব্যাপারে ওই চর মানিকা ইউপি চেয়ারম্যান শফিউল্লাহ হাওলাদার বলেন, আমার মাথা ঠিক নাই। আমি সকাল ১০টা থেকে চাউল বিতরণ করছি। ১টায় সময় তদারকি কর্মকর্তা (ট্যাগ)অফিসার আনোয়ার হোসেন এসে আমার সাথে যোগাযোগ না করে ৪জন জেলের চাল মাপে। এতে ২জনের ২৬কেজি বেশি আর ২ জনের মধ্যে ১জনের ২৮কেজি আরেক জনের ৪২কেজি চাউল পেয়েছে। সে যে দুইজনের চাউল কম হয়েছে ওই দুইজনের নাম কাগজে লিখছেন। যাদের চাউল বেশি হয়েছে তাদের নাম না লিখায় আমি উত্তোজিত হয়েছি। আমি কমবেশি মিলাইয়াই সবাইকে দিতে হবে। আমি এই ঘটনাই নির্বাহী কর্মকর্তা আল নোমান স্যারকে এবং আমাদের উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন আখনকে জানিয়েছি। তারা আমাকে তাকে (ট্যাগ অফিসার)কে বাদ দিয়ে চাউল দিয়ে দিতে বলেছে।
চাল বিতরণকারী কর্মকর্তা(ট্যাগ)অফিসার প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান বলেন, আমি কম দেই বেশি দেই আমাকে বলবে। আমাকে না বলে সে দোকানে গিয়ে গ্রাহকের চাউল মাপে কেন ? আমি তাকে টাকা না দেয়ার কারণে চাউল মেপে আমার বদনাম ছড়াচ্ছে। চেয়ারম্যানের এসকল কথা গুলো অডিও রেকর্ড করা হয়েছে।
চরমানিকা ইউপি ট্যাগ অফিসার আনোয়ার হোসেন বলেন, আমাকে সরকার সঠিক ভাবে তদারকি করার জন্য দায়িত্ব দিয়েছে। জেলেদের চাউল কম দেখে আমি মেপে দেখলাম। প্রায় জেলেদেরকে ৩৪/৩৫ কেজি করে চাউল দিয়েছে চেয়ারম্যান। চাউল মেপে দেখা কি আমার অপরাধ? এইজন্য চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারধর করতে এগিয়ে আসতে পারে? জনগনের জন্য আমার গায়ে আঘাত করতে পারেনি।
স্থানীয় সংবাদকর্মী তুহিন জানান, চাউলে কম এবং প্রকৃত জেলেদেরকে না দেয়ার প্রতিবাদ করায় আমার উপস্থিতিতে চেয়ারম্যান শফিউল্লাহর ক্যাডারেরা জেলে মোঃ হোসেনকে ব্যাপক মারধর করেছে আমি তাৎক্ষনিক তা ভিডিও করেছি। সুফিয়া জানান, আমাকে এক নামে চাউল দিয়েছে ৩০ কেজি।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল নোমান বলেন, চেয়ারম্যান ট্যাগ অফিসার দোহাই দিয়ে চাউল দেয়া বন্ধ রাখতে চায়। ট্যাগ অফিসারের সাথে কি হয়েছে সেটা আমরা ক্ষতিয়ে দেখবো। তবে কোন মতে চাউল বিতরণ বন্ধ রাখা যাবে না। তবে একজন জেলেকে মারধরের ঘটনা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে ওই বিষয়টি তদন্ত সাক্ষেপে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো। যে দোষি হয় তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি পেতেই হবে।

এএইচ/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২২:১৪:৪২ ● ৯৬ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ