অকাল বৃষ্টিত কলাপাড়ায় ১৭ হাজার কৃষকের সর্বনাশ

প্রথম পাতা » সর্বশেষ » অকাল বৃষ্টিত কলাপাড়ায় ১৭ হাজার কৃষকের সর্বনাশ
বুধবার ● ৬ মার্চ ২০১৯


---

কলাপাড়া সাগরকন্যা অফিস॥
সাগরপারের জনপদ কলাপাড়ার গোটা উপকূলীয় এলাকায় আট দিনের ব্যবধানে দুই দফা বৃষ্টিতে এখন রবিশস্যের ক্ষেতে পানি জমে আছে। পচে গেছে কৃষকের ডালসহ সকল ধরনের শস্য। তরমুজ চাষীরা গেছেন নিঃস্ব হয়ে। কৃষক এখন চোখে সর্ষেফুল দেখছেন। অর্ধশত ইটভাঁটির মালিকদের অন্তত গড়ে প্রত্যেকের ১২ লাখ থেকে ২৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। অকালের ঝড়োহাওয়া আর ভারি বৃষ্টিতে কৃষকের অপুরনীয় ক্ষতি হয়েছে। তবে স্ফীত হাসি বোরো চাষীদের। কেটে গেছে তাদের সেচ সঙ্কট।
কৃষি অফিসের দেয়া তথ্যমতে, কলাপাড়ায় ১৬ হাজার ৭০০ কৃষক বৃষ্টিতে অপুরনীয় ক্ষতির শিকার হয়েছেন। অন্তত ১৭ হাজার দুই শ’ ৯০ একর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। তথ্যমতে ডালজাতীয় খেসারীর ছয় হাজার এক শ’ ৭৫ একর আবাদী জমির শতকরা ৪০ ভাগ সম্পুর্ণভাবে নষ্ট হয়েছে। একই ভাবে পাঁচ হাজার পাঁচ শ’ ৫৭ একর তরমুজ ক্ষেতের ৬০ ভাগ, মুগডালের চার হাজার ৮১৬ একর আবাদি জমির অর্ধেকটা, ফেলন ডালের সাত হাজার ২৮৬ একর আবাদী জমির ৩০ ভাগ সম্পুর্ণভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। এভাবে মরিচ, চিনাবাদাম, মিষ্টি আলু, সূর্যমূখী ও শাকসবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বৃষ্টিতে। পচে গলে গেছে অধিকাংশ শস্য। কৃষি অফিসের দাবি অন্তত ২০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে রবিশস্যের। প্রান্তিক, ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বড় সকল শ্রেণির কৃষক ক্ষতির কবলে পড়েছেন। কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মন্নান জানান, এছাড়া আংশিক ক্ষতি হয়েছে আরও অন্তত ২৮ হাজার একর ফসলী জমি। নীলগঞ্জের সবজি চাষী সুলতান গাজী জানান, তরমুজসহ ডালজাতীয় শস্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া যারা মরিচ, চিচিঙ্গা, চালকুমড়া, পুঁইশাক জাতীয় শস্য ও শাকসবজির বীজতলা করেছেন তা বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে। এক্ষতি পুষিয়ে নেয়া অনেকের পক্ষেই সম্ভব নয়। কলাপাড়া ইটভাঁটি মালিক সমিতির সভাপতি মো. ইউসুফ আলী জানান, তাঁদের প্রত্যেকটি ইটভাঁটির গড়ে ১৫-২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। কাঁচা ইট গলে গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪:৫৪:২৩ ● ৫৮৫ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ