গোপালগঞ্জ সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় নলুয়া-বুরুয়া মৎস্য চাষ সমিতির উদ্যোগে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে।
উপজেলার কলাবাড়ী ইউনিয়নের নলুয়া বিলে নলুয়া-বুরুয়া মৎস্য চাষ সমিতির উদ্যোগে ও সমিতির নিজস্ব অর্থায়নে নলুয়া গোপাল তালুকদারের বাড়ী থেকে হরপ্রসাদ রায়ের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার দির্ঘ খালের পাড়ে বেড়িবাঁধটি নির্মাণ করেছে নলুয়া-বুরুয়া মৎস্য চাষ সমিতির সদস্যগণ।
বেড়িবাঁধ নির্মাণে নলুয়া-বুরুয়া মৎস্য চাষ সমিতির সদস্য মৃনাল কান্তি বালা , সুভাষ বিশ্বাস ,শিশির বিশ্বাস, দিলিপ মধু,স্বপন মধু , সুশান্ত মন্ডল, রমেন মধু, কিশোর রায়, স্বপন রায় ও গোবিন্দ বিশ্বাস বলেন ,নলুয়া গোপাল তালুকদারের বাড়ি থেকে দক্ষিণে হরপ্রসাদ রায়ের বাড়ি পর্যন্ত, পশ্চিমে শিক্ষক বিপিনবিহারী বিশ্বাসের বাড়ি পর্যন্ত, উত্তর-পশ্চিমে স্বপন মধুর বাড়ি পর্যন্ত বিস্তৃত। এখানে প্রায় ৬০ একর জমিতে প্রতিবছর বোরো মৌসুমের ধান চাষ করতে অনেক বিলম্ভ হয়। খালের পানি না কমলে বিলের পানি ও কমেনা। যার কারণে ধান রোপন করতে হয় ফেব্রুয়ারী ও মার্চে। রোপণকৃত ধান সেরে উঠতে না উঠতেই বর্ষা মৌসুমের জোয়ারের পানির চাপে অপরিপক্ক ধান প্লাবিত হয়ে যায়। অনেক জমি অনাবাদি থেকে যায়। কৃষকের প্রতি বছর দেড়শ থেকে দুইশো মেট্রিক টন ধান থেকে বঞ্চিত হয়। অসময়ে জোয়ারের পানির হাত থেকে রক্ষা পেতে এবং অনাবাদি জমিগুলোকে চাষের উপযোগী করার জন্য প্রত্যেক জমির মালিকদের সাথে কথা বলে নলুয়া-বুরুয়া মৎস্য চাষ সমিতির নামে চুক্তি বদ্ধ হয়। এই চুক্তিতে উল্লখ্য থাকে প্রত্যেক জমির মালিককে বিঘা প্রতি পাঁচ হাজার টাকা দিতে হবে। এ ছাড়া বোরো মৌসুমে ধান চাষের উপযোগী করে দিতে হবে। বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে আমাদের দেড়মাস সময় লেগেছে এবং ১৩ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে নলুয়া-বুরুয়া মৎস্য চাষ সমিতির পক্ষ থেকে মাছ চাষের উদ্যোগ নেওয়ায় জমির মালিকগণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
একাধিক জমির মালিকদের সাথ কথা বলে জানাযায়,তাদের জমিতে মৎস্য প্রকল্প করায় তারা খুব খুশি,একদিকে তাদের জমিতে নিয়মিত ধান চাষ করতে পারবে,অন্যদিকে প্রতিবছর বিঘা প্রতি পাঁচ হাজার করে টাকা পেয়ে যাচ্ছেন। অপরদিকে তাদের জমিগুলো আগাছা পরিস্কার করতে কোন অর্থ ব্যয় হচ্ছে না। তারা সবদিকে লাভবান হচ্ছেন।
বেড়িবাঁধ নির্মাণে কলাবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট বিজন বিশ্বাস বলেন, এলাকার কৃষকদের যদি উপকার হয় তাহলে বেড়িবাঁধ দেয়ায় কোন সমস্যা নেই।
এইচবি/এমআর