প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়াই লাকি কুপন বিক্রি, টাকা লোপাটের অভিযোগ

হোম পেজ » বরগুনা » প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়াই লাকি কুপন বিক্রি, টাকা লোপাটের অভিযোগ
বুধবার ● ১৯ নভেম্বর ২০২৫


 

প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়াই লাকি কুপন বিক্রি, টাকা লোপাটের অভিযোগ

সাগরকন্যা প্রতিবেদক, আমতলী (বরগুনা)

তালতলী উপজেলার ডিসি পয়েন্টে রাস উৎসব ও নিদ্রা সমুদ্র সৈকত ব্যান্ড অনুষ্ঠান চলাকালীন অনুমোদন ছাড়া লাকি কুপন বিক্রি করে টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। কুপন ক্রেতারা বলছেন, কমিটির লোকজন ড্রঃ না দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তাদের।

তালতলী উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার সেবক মন্ডল বলেন, লাকি কুপন বিক্রির কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। যদি বিক্রি করা হয়ে থাকে, তা অবৈধ। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানা গেছে, তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের নিদ্রা ডিসি পয়েন্টে গত ৫ নভেম্বর তিন দিনব্যাপী রাস উৎসব ও সমুদ্র সৈকত ব্যান্ড অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ৭ নভেম্বর উৎসব শেষ হয়। বরগুনা জেলা প্রশাসকের অনুমোদনে নিদ্রা সমুদ্র সৈকত পর্যটন উদ্যোক্তা কমিটি অনুষ্ঠান আয়োজন করে। কিন্তু প্রশাসন লাকি কুপন বিক্রির অনুমোদন দেয়নি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উদ্যোক্তা কমিটির লোকজন প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়াই ১০ টাকা করে ১০ হাজার লাকি কুপন বিক্রি করেছেন। প্রথম পুরস্কার একটি গরু, দ্বিতীয় এলইডি টিভি, তৃতীয় মোবাইল সেটসহ ১২টি আকর্ষণীয় পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু উৎসবের শেষ দিন, ৭ নভেম্বর, কমিটি ড্রঃ স্থগিত করে। ১২ দিন পেরিয়ে গেলেও ড্রঃ দেওয়া হয়নি।

কুপন ক্রেতাদের অভিযোগ, কমিটির লোকজন তাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তালতলী বাজারের শিশির গাজী বলেন, বন্ধু বান্ধব মিলে এক হাজার কুপন ক্রয় করেছি। ড্রঃ স্থগিত থাকায় ১২ দিন পেরিয়ে গেলেও আমরা কিছু পাইনি। কমিটির লোকজন কুপন বিক্রির টাকা আত্মসাৎ করেছেন। দ্রুত ব্যবস্থা চাই।

লাকি কুপন ক্রেতা নাজমুল, মেহেদী হাসান ও বায়েজিদও অভিযোগ করেছেন, কমিটি আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও নিদ্রা সমুদ্র সৈকত পর্যটন উদ্যোক্তা কমিটির সভাপতি মোঃ ইউনুস ফরাজী বলেন, লাকি কুপন বিক্রির বান্ডিল হারিয়ে গেছে, তাই ড্রঃ দিতে পারিনি। দ্রুত সময়ের মধ্যে ড্রঃ দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭:৫১:৪৯ ● ২৯ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ