সাগরকন্যা প্রতিবেদক, বাগেরহাট
বাগেরহাটে সাংবাদিক এস এম হায়াত উদ্দিন হত্যার ঘটনায় রাজধানীর আশুলিয়া থেকে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। তারা এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ। অভিযানে উঠে এসেছে আলোচিত এ হত্যার নেপথ্যের তথ্যও।
হায়াত উদ্দিন ছিলেন বাগেরহাট শহরের হাড়িখালি এলাকার বাসিন্দা এবং স্থানীয় দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক। তিনি বাগেরহাট পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পদপ্রার্থীও ছিলেন।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় হাড়িখালিতে স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে বসে থাকার সময় সন্ত্রাসীরা তাকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। ছয়-সাতজন সন্ত্রাসী তিনটি মোটরসাইকেলে এসে হায়াত উদ্দিনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায়। রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার দুই দিন পর নিহতের মা হাসিনা বেগম বাগেরহাট সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি হিসেবে মো. ইসরাইল মোল্লার নাম উল্লেখ করা হয়। আরও ছয়জনের নামসহ ১০-১২ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে (মামলা নং-০২, তারিখ: ৬/১০/২০২৫)।
জেলা ডিবি পুলিশের ওসি শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত বিশেষ দল রাজধানীর আশুলিয়ার পল্লী বিদ্যুৎ এলাকার ‘নিউ গোল্ডেন সিটি’ আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে গ্রেফতার করে। তারা হলেন বাগেরহাট সদর উপজেলার গোপালকাটি এলাকার ওমর ফারুক ইমন হাওলাদার (২৫) ও আশিকুল ইসলাম আশিক (২৫)।
আদালতে সোপর্দের পর দুজনই ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। সেই জবানবন্দিতে হত্যার পরিকল্পনা ও জড়িতদের পরিচয় উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
