সাগরকন্যা প্রতিবেদক, মাদারীপুর
মাদারীপুরের কালকিনিতে প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ও লাঠি হাতে শোভাযাত্রা ও পথসভা করার ঘটনা ঘটেছে। ক্ষমতার জানান দিতে এ ধরনের মহড়ার ঘটনায় পুরো জেলাজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) কালকিনি পৌরসভা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রশাসন বলছে, লাইসেন্সকৃত অস্ত্র নিয়েও প্রকাশ্যে এভাবে প্রদর্শন বেআইনি। বিষয়টি নজরে আসার পর অস্ত্রধারী ব্যক্তিদের শনাক্তে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম।
জানা যায়, মেজর (অব.) রেজাউল করিম নামে একজন ব্যক্তি বিএনপির ব্যানারে মাদারীপুর-৩ আসনের বিভিন্ন স্থানে শোভাযাত্রা ও পথসভা করেন। বিএনপির কোনো পদে না থাকলেও এলাকায় নিজের পরিচিতি বাড়াতে তিনি এই কর্মসূচি নেন।
পথসভায় প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শনের বেশ কয়েকটি ছবি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ছবিতে দেখা যায়, রেজাউল করিমের সঙ্গে থাকা দুজন কালো পোশাকধারী ব্যক্তি একটি পিস্তল ও একটি শর্টগান হাতে রেখেছেন। এছাড়া তার ভাতিজা আরিফ হোসেন ওরফে বাবু বেপারীর হাতেও একটি পিস্তল দেখা গেছে।
ঘটনাটি নিয়ে জেলাজুড়ে তীব্র সমালোচনা চলছে। অনেকেই বলছেন, জনপ্রতিনিধি হতে এসে প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করা ঠিক হয়নি। বিএনপির ব্যানারে এমন কর্মসূচি করায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তারা। কেউ কেউ আবার আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে রেজাউল করিমের পুরোনো ছবি শেয়ার করে তাকে আওয়ামী লীগের দোসর বলেও আখ্যা দিচ্ছেন।
কালকিনি উপজেলা বিএনপির নেতারা বলছেন, দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে কিছু অনুপ্রবেশকারী এমন কর্মকাণ্ড করছে। তাদের সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
রেজাউল করিমের বক্তব্য জানতে তার ব্যক্তিগত নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কোন পথসভা বা জনসভায় প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শনের অনুমতি নেই। ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য অস্ত্র বহন করলে যার নামে লাইসেন্স সেই ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ অস্ত্র বহন করতে পারে না।
