কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥
যৌন হয়রাণির বিচার চাইতে অভিভাবকদের ভিড় করায় জ্ঞান হারালেন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম। তাকে দ্রুত প্রথমে কলাপাড়া হাসপাতালে পরে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের উমেদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শনিবার (২৪ আগস্ট) বিকেল সাড়ে তিনটার ঘটনা। অসংখ্য অভিভাবক জানান, সবশেষ কোরবানির বন্ধের দুইদিন আগে পঞ্চম শ্রেণির দুই শিশুকে যৌন হয়রাণি করেন প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম। ওই শিশুরা তাদের বাবা-মাকে বলে দেয়। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য অভিভাবকরা জানতে পারেন, আরও শিশুদের যৌনহয়রানি করা হয়েছে। শনিবার এ ঘটনার বিচার চাইতে অসংখ্য অভিভাবকসহ এলাকার শতাধিক নারী-পুরুষ জড়ো হয় স্কুলে। বিষয়টি ম্যানেজ করতে প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন ছলছুতোর আশ্রয় নেন। প্রধান শিক্ষকের সামনেই শিশু-অভিভাবকরা অভিযোগ করেন। এক পর্যায়ে মাটিতে পড়ে গিয়ে স্ট্রোকের কথা বলেন। তাকে কলাপাড়া হাসপাতালে নেয়া হলে বিকেল পৌনে পাঁচটায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
অভিভাবক জাকিয়া বেগম বলেন, ওই প্রধান শিক্ষকের কাছে তাঁদের সন্তানরা আর নিরাপদ নয়। অন্তত ১০-১২ শিশুকে যৌন হয়রাণির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আবুল বাশার জানান, তিনি বিষয়টি শুনেছেন, তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নিবেন। স্থানীয়রা আরও জানান, শিক্ষক রেজাউল করিম ইতোপূর্বে আমিরাবাদ স্কুলে চাকরিকালীনও এমন অপকর্ম করেছেন। তখন একটি মহল রক্ষা করতে ওখান থেকে বদলি করে দেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মুনিবুর রহমান জানান, অভিযোগের বিষয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বর্তমানে এ ঘটনায় উমেদপুর স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ হয়ে আছেন।
এমইউএম/এমআর