
এ.এম মিজানুর রহমান বুলেট, সাগরকন্যা রিপোর্ট (পটুয়াখালী)
পটুয়াখালীর মহিপুরে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। রোগীর সংখ্যাবৃদ্ধি এবং মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয় জনমনে চরম উদ্বেগ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদ এবং জনপ্রতিনিধিরা মাঠে নেমেছেন।
আজ রবিবার সকালে মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে ইউনিয়নের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় মশার লার্ভা ধ্বংসে ফগার মেশিনের মাধ্যমে স্প্রে করা হয়।
এর আগে ১০ নভেম্বর রাতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মহিপুরের দর্জিদোকানী শ্রী শিশির দাস এবং লতাচাপলী ইউনিয়নের কালাচাঁনপাড়া এলাকার রাখাইন যুবক ফার্মেসি ব্যবসায়ী উবাচো মারা যান। এর আগে আরও ৬ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ জনে। স্থানীয়রা জানান, আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান হাওলাদার বলেন, ইউনিয়নবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ফগিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং প্রয়োজনে প্রতিটি ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শংকর প্রসাদ অধিকারী সাগরকন্যাকে বলেন, অনেকেই জ্বরকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না এবং চিকিৎসা নিতে দেরি করছেন, যা বড় ঝুঁকি তৈরি করছে। ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি ওষুধ সেবন ও পর্যাপ্ত পানি গ্রহণের প্রতি সচেতন থাকতে হবে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কাউসার হামিদ বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সবকিছু সমন্বিতভাবে করা হচ্ছে। ফগিং, লার্ভিসাইড ব্যবহার, জনসচেতনতা বৃদ্ধি, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি ও চিকিৎসা সেবা জোরদার করা হয়েছে। তিনি সবাইকে ঘরের আশপাশ পরিষ্কার রাখা, জমে থাকা পানি অপসারণ এবং অসুস্থতার লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার আহ্বান জানান।