গলা ও মাথার পেছন আঘাতের চিহ্ন গৌরনদীতে যুবলীগ সদস্যকে হত্যার অভিযোগ

হোম পেজ » বরিশাল » গলা ও মাথার পেছন আঘাতের চিহ্ন গৌরনদীতে যুবলীগ সদস্যকে হত্যার অভিযোগ
রবিবার ● ১৬ নভেম্বর ২০২৫


 

আমিনুল ইসলাম হাওলাদার। ছবি- সংগৃহীত

সাগরকন্যা প্রতিবেদক, গৌরনদী (বরিশাল)

বরিশালের গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামে যুবলীগের সদস্য আমিনুল ইসলাম হাওলাদারকে (৪২) পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ তুলেছেন তাঁর স্বজনরা। রবিবার সকালে নিজ বাড়ির পুকুরের পাকাঘাটলার নিচ থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দুপুরে মরদেহ বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। নিহত আমিনুল গৌরনদী উপজেলার আ’লীগ নেতা মাষ্টার জাহাঙ্গীর হোসেন হাওলাদারের ছেলে।

নিহতের স্ত্রী পারভিন আক্তার সাগরকন্যাকে জানান, আ’লীগ রাজনীতির কারণে তাঁর স্বামী বাড়ির বাইরে কম বের হতেন। প্রায়ই রাতে ঘর থেকে বের হয়ে পুকুরের পাকাঘাটলায় বসে সময় কাটাতেন। শনিবার রাত ১০টার দিকে ঘর থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। ফোন রিসিভ না করায় রাত ১১টার দিকে তিনি ও তাঁর মেয়ে বাড়ির আশপাশ ও পুকুরের চারপাশে খোঁজ করেও পাননি। এরপর রাতে পরিচিতজনদের ফোন করেও আমিনুলের সন্ধান মেলেনি। রবিবার সকালে পাকাঘাটলার প্রথম সিঁড়িতে স্বামীর মোবাইল ফোন ও স্যান্ডেল দেখতে পান। পরে পুকুরে খোঁজাখুঁজি করে পাকাঘাটলার নিচ থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ঢাকা থেকে এসে নিহতের বড় ভাই মাজাহারুল ইসলাম হাওলাদার ও ভগ্নিপতি মিন্টু সরদার অভিযোগ করেন, দুর্বৃত্তরা সুপরিকল্পিতভাবে গলা ও মাথায় জখম করে আমিনুলকে হত্যা করেছে। হত্যার পর লাশ পুকুরের পাকাঘাটলার নিচে লুকিয়ে রাখা হয়। তাঁরা জানান, এ ঘটনায় গৌরনদী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হবে।

গৌরনদী থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। লাশের গলা, মাথার পেছন ও এক পাশে আঘাতের চিহ্ন আছে। ময়নাতদন্ত ছাড়া মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না। নিহতের স্বজনরা হত্যা বা অপমৃত্যু- যে মামলাই দিতে চান, পুলিশ তা গ্রহণ করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯:১৬:৪২ ● ৪৯ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ