সর্বশেষ

ভুয়া সনদে কলেজ সভাপতি, চরফ্যাশনে চাঞ্চল্য

হোম পেজ » লিড নিউজ » ভুয়া সনদে কলেজ সভাপতি, চরফ্যাশনে চাঞ্চল্য
শুক্রবার ● ৭ নভেম্বর ২০২৫


 

ভুয়া সনদে কলেজ সভাপতি, চরফ্যাশনে চাঞ্চল্য

সাগরকন্যা প্রতিবেদক, চরফ্যাশন (ভোলা)

ভোলার চরফ্যাশনের দক্ষিণ আইচা অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম সবুজ খাঁনের বিরুদ্ধে দুটি ভুয়া শিক্ষাগত সনদ জমা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কলেজপাড়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

সিরাজুল ইসলাম দক্ষিণ আইচা থানা বিএনপির নেতা দাবিদার এবং চরমানিকা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. আলী মিয়ার ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিনি ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে বি.বি.এ (সম্মান) ও এম.বি.এ পাসের সনদ জমা দিয়ে কলেজের গভর্নিং বডির এডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। কিন্তু সম্প্রতি যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, উভয় সনদই জাল।

ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. একেএম শামসুর রহমান ৫ নভেম্বর এক প্রতিবেদনে জানান, মো. সিরাজুল ইসলামের সার্টিফিকেটে ক্রমিক নম্বর অনুপস্থিত, কোর্স কোডে অমিল, ভাইস চ্যান্সেলরের স্বাক্ষর জাল এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের স্বাক্ষরের তারিখে গরমিল রয়েছে। ফলে উভয় সনদ জাল প্রমাণিত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন তিনি।

এ খবর জানাজানি হলে কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

দক্ষিণ আইচা রাব্বানীয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবুল বশার হেলালি বলেন, ভুয়া সনদ ব্যবহার করে কেউ এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে বসলে তা শিক্ষাব্যবস্থার জন্য হুমকি। এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।

অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মহিবুল্লাহ জানান, সিরাজুল ইসলাম সবুজ খাঁন ২০২৫ সালের ২০ এপ্রিল সভাপতি পদে আবেদন করেছিলেন। তার কাগজপত্র জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয় এবং অনুমোদনের পর তিনি সভাপতি হন। এখন জানতে পেরেছি তার সার্টিফিকেট জাল। আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেব।

অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলাম সবুজ খাঁন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।

চরফ্যাশন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মীর একেএম আবুল খায়ের বলেন, ভুয়া সনদ দিয়ে কেউ কলেজ সভাপতির পদে থাকতে পারেন না। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসনা শারমিন মিথি বলেন, অভিযোগটি অত্যন্ত গুরুতর। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবেদন যাচাই করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭:২০:১১ ● ৪৫ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ