নেছারাবাদে সংখ্যালঘু পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ

প্রথম পাতা » পিরোজপুর » নেছারাবাদে সংখ্যালঘু পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ
সোমবার ● ১৭ মে ২০২১


নেছারাবাদে  সংখ্যালঘু পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ

নেছারাবাদে (পিরোজপুর) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

নেছারাবাদে বিএনপি’র নেতার বিরুদ্ধে একটি হিন্দু পরিবারকে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার সমদেয়কাঠি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আঃ মজিদ খানের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ইউনিয়নের জুলুহার গ্রামের মৃত কুমুদ বিহারী মন্ডলের মেয়ে মিনতি রানী মন্ডলকে মামলা মোকদ্দমা দিয়ে হয়রাণি করাসহ তার পৈত্রিক ভিটায় পূজা পার্বন করতেও বাধা দিচ্ছেন। স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী ধর্নাঢ্য মজিদ খান, ওই হিন্দু সম্প্রদায়ের সমুদয় জমি ক্রয়ের নামে ভোগ দখলে রেখেছেন। কালি মন্দির ও কুমুদ বিহারীর সমাধী ভেঙে ফেলার পায়তারা করছেন।
বুধবার (১২ মে) মিনতি পূজা করার জন্য কালি মন্দিরে গেলে মজিদ খান একদল সন্ত্রাসী নিয়ে পুজা করতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ করেন মিনতি মন্ডল। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে সরিয়ে দেয়।
সরেজমিন গেলে মিনতি রানী মন্ডল অভিযোগ করেন, তাদের বেদখল হওয়া জমি উদ্ধার করে দেয়ার কথা বলে তার বাবা কুমুদ মন্ডলের কাছ থেকে ৯২ সনে একটি দলিল লিখিয়ে নেন মজিদ খান। কিছুদিন পর একদল সন্ত্রাসী বাহিনী এনে মজিদ খান কুমুদ মন্ডলের পরিবারকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। একপর্যায়ে ১৯৯৪ সালে মিনতির ভাই মনোরঞ্জনকে গুম করার অভিযোগে আদালতে মামলা করা হয়। পরে আইনের ফাঁক দিয়ে মজিদ খান সে মামলায় খালাশ পেয়ে যায়। এখন পর্যন্ত মনোরঞ্জনের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। সেই মনোরঞ্জনকে দাতা সাজিয়ে ২০০৫ সালে মজিদ খান ৫৫ শতাংশ জমির দলিল মুলে মালিকানা দাবী করে মিনতিদের পুরো সম্পত্তি দখল করে নেয়। মজিদ খান তার ছেলে সোহেল খানের নামে করা দলিলে পরিচিতির স্থানে স্বাক্ষর করেন তিনি নিজে। এ বিষয়টি নিয়ে মিনতি আদালতে মামলা করেন। মজিদ খান বলেন, ওই জমি তার খরিদ করা। সেখানে হিন্দুরা পূজা করবে কেন। আরতিকে নির্যাতনের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। ভাই বোন উপস্থিত থাকতে আপনি কেন দলিলের পরিচিত হলেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন আমি ওই বাড়ীর মালিক সে কারনে হয়েছি। গুম হওয়া মনোরঞ্জনকে কাছে পেয়ে পুলিশে দেন নি কেন, এর জবাবে তিনি  বলেন, যেহেতু জমি কিনতে পেরেছি আমার স্বার্থ ছিল বলে বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি।
এ বিষয়ে নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) থানার ওসি আবীর মোহাম্মদ হোসেন জানান, বিষয়টি স্পর্শ কাতর আইন শৃঙ্খলার কোন অবনতি না ঘটে সেজন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে। উভয় পক্ষ দুটি আবেদন করলে তা প্রসিকিউশন কেটে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা পূজা পরিষদের সভাপতি শশাংক রঞ্জন সমদ্দারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, যেহেতু উভয় পক্ষ ভিন্ন জাতির লোক। সেকারনে সহ অবস্থানের লক্ষ্যে বিকল্প পথ খুঁজছি। মিনতিকে অন্যত্র পূজা দেওয়ার জন্য বলেছি। মজিদ খানকেও ওই খানে না যাওয়ার জন্য বলেছি।

আরএ/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:৪০:০৫ ● ৯৭৬ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ