গলাচিপায় ঘাট ইজারা বিতর্কে দুই নারীর হাতাহাতি!

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » গলাচিপায় ঘাট ইজারা বিতর্কে দুই নারীর হাতাহাতি!
শুক্রবার ● ৭ মে ২০২১


গলাচিপায় ঘাট ইজারা বিতর্কে দুই নারীর হাতাহাতি!

গলাচিপা (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

পটুয়াখালীর গলাচিপার বোয়ালিয়া স্পীডবোট ঘাট ও নতুন সৃষ্ট খেয়া ঘাটকে কেন্দ্র করে দুই নারী উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ওয়ানা মর্জিয়া নিতু ও এ্যাড. উম্মে আসমা আঁখির মধ্যে মারপিট হয়েছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার। এ সময়ে পটুয়াখালী পোর্ট অফিসার মো. মহিউদ্দিন খান উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।সূত্র জানায়, ছয় বছর আগে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ গলাচিপা উপজেলা বোয়ালিয়া থেকে রাঙ্গাবালী উপজেলার কোড়ালিয়া ঘাটে স্পীডবোট চলাচলের অনুমতি দেয়। সেই থেকে টেন্ডারের মাধ্যমে যথারীতি স্পীডবোট চলাচল করছে। স্পীডবোট চালু হওয়ায় দূর পাল্লার নদীপথ খুব কম সময়ে পারাপার হতে পারায় এলাকার মানুষ বেশ আনন্দিত। স্পীডবোট চালু হওয়ায় দুই উপজেলার মানুষের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ হয়। ভাড়াও রাখা হয় অনেকটা সাধ্যের মধ্যে। ৮ থেকে ৯ কিলোমিটার নদীপথ পাড়ি দিতে ব্যয় করতে হয় মাত্র ১২০ টাকা।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিতু দাবি করেন তিনি স্থানীয় বেকার যুবকদের নিয়ে অনেকটা সমিতির মতো করে বোয়ালিয়া স্পীডবোট ঘাট চালাচ্ছেন। বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ হওয়ায় তাদের সাংসারিক অভাব অনটন মেটাচ্ছেন। এদিকে বিআইডব্লিউটি’র টেন্ডার দেয়া ঘাটে একই স্থান অর্থ্যাৎ বোয়ালিয়া ও কোড়ালিয়া ঘাটে খেয়া পরিচালনার জন্য পটুয়াখালী জেলা পরিষদ থেকে ১৪২৮ বঙ্গাব্দের জন্য টেন্ডার দেয়া হয়। পটুয়াখালীর খন্দকার নজরুল ইসলাম সর্বোচ্চ দরদাতা হিসাবে ইজারা পান। আইনজীবী আঁখি ইজারাদার খন্দকার নজরুলের প্রতিনিধি হিসাবে বোয়ালিয়া ঘাটে যান। একই স্থানে দুই সংস্থা ইজারা দেয়া নিয়ে বাঁধে গোল।
এরই জের হিসাবে দুই নারীর কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে।এ ব্যাপারে ভাইস চেয়ারম্যান নিতু ও এ্যাড. আখিঁর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা পরস্পর বিরোধী বক্তব্য রাখেন।


এসডি/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২১:৩০:৪৫ ● ৪২৭ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ