কুয়াকাটায় দেবালয় সম্পত্তি দখলের অভিযোগ

প্রথম পাতা » কুয়াকাটা » কুয়াকাটায় দেবালয় সম্পত্তি দখলের অভিযোগ
সোমবার ● ১৫ মার্চ ২০২১


কুয়াকাটায় দেবালয় সম্পত্তি দখলের অভিযোগ

কুয়াকাটা সাগরকন্যা অফিস॥


কুয়াকাটায় ক্রয়কৃত ও রাখাইন দেবালয় সম্পত্তি স্থানীয় কতিপয় দালালচক্র অবৈধভাবে দখল নেয়ার পায়তারা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। লতাচাপলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের পাশে দলিলমূলে ক্রয়কৃত ৩০শতাংশ জমি কাঠের বেড়া দিয়ে অবৈধভাবে দখল নেয়ার চেষ্টা করছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিএস জরিপের রেকর্ডে ৮৫শতাংশ জমি বৌদ্ধ বিহারের নামে থাকলেও পরিত্যাক্ত বৌদ্ধ বিহারটির উত্তর পাশ ইতিমধ্যেই দখল হয়ে গেছে, এথন দক্ষিন পাশ ও প্রবেশপথের পশ্চিমপার্শ্বে বালু ভরাটের কাজ চলছে। ২০১৩-০২০১৪ অর্থবছরে বিশেষ এলাকার জন্য উন্নয়ন সহায়তা কর্মসূচীর আওতায় বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে রাথাইন বৌদ্ধ বিহার সংস্কারের জন্য ৩লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়। এখন একটি প্রভাবশালী মহল দেবালয়ের এই জমিতে বৌদ্ধমঠ, বিহারসহ জায়গাদখল শুরু করেছে। কুয়াকাটা লতাচাপলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিকটে এস. এ ৬৬০ থেকে একটি কোম্পানী দলিল মূলে ক্রয় করেন। পরে  বি.এস ১৪১৩ খতিয়ান তাদের নামে ৩০ শতাংশ রেকর্ড হয় তারা দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছেন। কিছুদিন ধরে সেই জমি স্থানীয় একটি কু-চক্রি মহলের নজরে আসে। তারা ঐ কোম্পানীকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করে আসছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। ঐ মহলটি স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের হওয়ায় বিরোধীয় বিষয়ে দলিলপত্র নিয়ে অনেকবার বসাবসি হলেও সর্বশেষ ১১ মার্চ বৃহস্পতিবার ঐ মহলটি প্রভাব খাটিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে কাঠের বেড়া দিয়ে জমি আটকে দেয়।
পুরোনো বৌদ্ধ বিহার কমিটির সভাপতি এমং তালুকদার জানান, বৌদ্ধ বিহারের জায়গা বাদ দিয়ে কাজ করতে বলেছি কিন্তু তারা আমার কথা না শুনে বেড়া দিয়ে অবৈধভাবে ও জোড়পূর্বক বালু দিয়ে ভরাট কাজ চালাচ্ছে।
ঐ কোম্পানীর ম্যানেজার মো: মিজানুর রহমান বলেন, যথার্থ দলিল-পত্র ও প্রমাণাদি দেখানোর পরেও পৌর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক প্যানেল মেয়র পান্না মাঝি, পৌর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর শাহ আলম হাওলাদার ও হাজী চাঁন মিয়াসহ প্রভাবশালী মহল জমি তাদের বলে দাবী করে যাচ্ছে।
এবিষয়ে কুয়াকাটা পৌর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর শাহ আলম হাওলাদার ও হাজী চাঁন মিয়া বলেন, এখানে আমাদের কোন স্বত্ত নেই। স্থানীয় হিসাবে পান্না মাঝি আমাদের ডেকেছে বলে আমরা গিয়েছিলাম।
কুয়াকাটা পৌর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক প্যানেল মেয়র পান্না মাঝি বলেন, ঐ জমি নিয়ে কিছু ঝামেলা আছে। পরে জানাবে বলে সাংবাদিকদের বলেন।
কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়া হাওলাদার বলেন, তেমং নামে এক রাখাইন এখানে জটিলতা সৃষ্টি করছে শুনে আমি দুইদফা কাজ বন্ধ করে দিয়েছি , কিন্তু কেউ কোন লিখিত অভিযেঙাগ দেয়নি বলে তিনি জানান।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মো: শহিদুল হক এ প্রতিবেদককে বলেন, বৌদ্ধ বিহারের জায়গা দখলের কোন সুযোগ নেই, তবে বিষয়টি জেনে-শুনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এমইউএম/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২১:০৬:০৮ ● ৮৩৮ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ