পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেন শিডিউলে ফের গড়বড়

প্রথম পাতা » সর্বশেষ » পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেন শিডিউলে ফের গড়বড়
শনিবার ● ১৭ আগস্ট ২০১৯


পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেন শিডিউলে ফের গড়বড়

ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥

ঈদের আগে যাত্রীদের চাপ ও বিভিন্ন কারণে ট্রেনগুলো ঢাকা ছাড়তে বিলম্ব করেছে। কিন্তু ঈদ শেষে ঢাকায় ফেরার চাপ থাকলেও ঢাকার বাহিরে যাওয়ার যাত্রীদের তেমন একটা চাপ নেই। তারপরও কমলাপুর ছাড়তে বিলম্ব করছে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলো। ফলে যেসব যাত্রী ঢাকার বাহিরে বিভিন্ন গন্তব্যে যাচ্ছেন, তারা দুর্ভোগে পড়েছেন।
শনিবার (১৭ আগস্ট) পশ্চিমাঞ্চলের অনেক ট্রেনই দুই ঘণ্টা থেকে শুরু করো সাত ঘণ্টা পর্যন্ত বিলম্ব করে কমলাপুর ছাড়ে। কমলাপুর স্টেশন গিয়ে দেখা যায়, রাজশাহী থেকে আসা ধুমকেতু এক্সপ্রেস সকাল ৬টায় ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও পাঁচ ঘণ্টা বিলম্বের ঢাকা থেকে ছেড়ে যায় বেলা ১১টা ১০ মিনিটে। খুলনা থেকে আসা সুন্দরবন এক্সপ্রেস সকাল ৬টা ২০ মিনিটে ঢাকা ছাড়ার কথা থাকলেও পাঁচ ঘণ্টা দেরিতে বেলা ১১টায় ঢাকা ছেড়ে গেছে। চিলাহাটি থেকে আসা নীলসাগর এক্সপ্রেস সকাল ৮টায় ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও চার ঘণ্টা বিলম্বে ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার সম্ভাব্য সময় দেওয়া হয় ১২টা ১০ মিনিট। রংপুর থেকে আসা রংপুর এক্সপ্রেস সকাল ৯টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সাড়ে সাত ঘণ্টা বিলম্বে ঢাকায় পৌঁছাতে পারে। ফলে বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ রংপুরের উদ্দেশ্যে ট্রেনটি ঢাকা ছাড়তে পারে জানানো হয়।
লালমনিরহাট থেকে লালমনি ঈদ স্পেশাল সকাল সোয়া ৯টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সাত ঘণ্টা বিলম্বে ঢাকায় পৌঁছাতে পারে। বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে ট্রেনটি ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার সম্বাবনা ছিল। পঞ্চগড় থেকে আসা একতা এক্সপ্রেস সকাল ১০টায় ঢাকা ছাড়ার কথা থাকলেও দুই ঘণ্টা বিলম্বে দুপুর ১২টায় পঞ্চগড়ের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া সময় দেওয়া হয়েছে। কমলাপুর রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আমিনুল হক বলেন, বন্যায় লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে লালমনিরহাট ও শান্তাহার লাইনে ট্রেনের গতি অনেক কমেছে। ফলে পশ্চিমাঞ্চলে ট্রেন চলাচলে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বিলম্ব হচ্ছে।
শনিবার বেলা ১১টায় কমলাপুর রেলস্টেশনে নিজ কার্যালয়ে সাগরকন্যার আলাপকালে একথা বলেন তিনি। আমিনুল হক বলেন, যাত্রীরা যাতে নিরাপদে ঢাকায় ফিরতে পারেন, আমরা সেই চেষ্টা করছি। আন্তঃনগর ও মেইলে ৫৫টি ট্রেনে বসে প্রতিদিন ঢাকায় আসতে পারবেন প্রায় ৬০ হাজার যাত্রী। একইভাবে ঢাকা থেকেও ৬০ হাজার যাত্রী যেতে পারবেন। দিনে এক লাখ ২০ হাজার যাত্রী পরিবহন করছে রেল। তবে যারা দাঁড়িয়ে আসবেন বা যাবেন, তারা এতে অন্তর্ভুক্ত নন বলে জানান কমলাপুর রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আমিনুল।
এবারের ঈদুল আজহায় চরম শিডিউল বিপর্যয়ে পড়ে রেল। এতে ঈদ উদযাপনে বাড়ি যেতে লোকজনকে বেশ ভোগান্তিতে পড়তে হয়। ঈদ উদযাপন শেষে জীবিকার টানে রাজধানী ফেরা লোকজনকেও ট্রেনের শিডিউল বিলম্বে পড়তে হচ্ছে।

এফএন/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:১৬:০৬ ● ৩৫০ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ