
কাজী সাঈদ, অতিথি প্রতিবেদক
বৈরী আবহাওয়ায় উত্তাল সমুদ্র থেকে খালি হাতে ফিরছেন উপকূলের জেলেরা। ইলিশ মৌসুমের মাঝেও কাঙ্ক্ষিত মাছ মিলছে না তাদের জালে। লোকসানে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন জেলে ও মৎস্যজীবীরা।
বৃহস্পতিবার সকালে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে উত্তাল হয়ে ওঠে বঙ্গোপসাগর। নিরাপত্তার কারণে পটুয়াখালীর আলীপুর-মহিপুরের খাপড়াভাঙ্গা নদীতে আশ্রয় নিয়েছে শত শত ট্রলার। এসব ট্রলারের বেশিরভাগই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসেছে।
জেলেরা জানান, মৌসুমের শুরুতেই ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞার পর এখন লঘুচাপ ও বৈরী আবহাওয়ার ধাক্কায় সাগরে নামলেই ফিরে আসতে হচ্ছে খালি হাতে। এতে চরম ক্ষতিতে পড়েছেন জেলে ও ট্রলার মালিকরা। কেউ কেউ পেশা বদলের কথাও ভাবছেন।
আলীপুরের মৎস্য ব্যবসায়ী জাফর হাওলাদার বলেন, একেকটা ট্রলার সাগরে পাঠাতে কয়েক লাখ টাকার বাজার করতে হয়। কিন্তু ঘন ঘন নিম্নচাপ ও লঘুচাপে বারবার ফিরে আসতে হচ্ছে। মালিকরা এখন মারাত্মক ক্ষতির মুখে।
ট্রলারের মাঝি একলাস গাজী বলেন, ৫৮ দিনের অবরোধের পরও এখনো লাভের মুখ দেখিনি। দুই দিন ফিশিং করলেই আবহাওয়া খারাপ হয়, বাধ্য হয়ে ফিরে আসি।
আড়ৎদার মিজানুর রহমান জানান, ইলিশের দাম বেশি হলেও বাজারে তেমন মাছ নেই। জেলেরা সাগরে যেতে না পারায় আমরাও বিপদে।
আলীপুর মৎস্য আড়ৎদার সমিতির সাবেক সভাপতি আব্দুল জলিল ঘরামী বলেন, চলতি বছর একেবারেই ব্যবসা হয়নি। লাখ লাখ টাকা দাদনে বিনিয়োগ করে এখন বিপাকে পড়েছি।
আলীপুর-মহিপুর অঞ্চলে খাপড়াভাঙ্গা নদীর দু’পাশে নোঙর করে আছে শত শত ট্রলার। নদী ও সাগরের পানি স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। আকাশজুড়ে ঘন মেঘ।
পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী জানান, সমুদ্রে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে, যা আগামী ৭২ ঘণ্টায় নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। উপকূলে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে।