
সাগরকন্যা প্রতিবেদক, নেছারাবাদ (পিরোজপুর)
গার্ডার ছাড়া সেতুর স্ল্যাব ঢালাই ও নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল নেছারাবাদের একটি সেতু। তবে শ্রমিকেরা ভাঙার কাজ শুরুর আগেই সেটি নিজে থেকেই খালে ধসে পড়ে।
পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার পূর্ব জলাবাড়ি ইউনিয়নের ভাদুরা খালের ওপর নির্মাণাধীন সেতুটি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ধসে পড়েছে। এতে এলাকাবাসী চরম ভোগান্তিতে পড়লেন।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছিল মেসার্স ইফতি ইটিসিএল প্রাইভেট লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার ভান্ডারিয়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম। তিনি পিরোজপুর-২ আসনের সাবেক এমপি মহিউদ্দিন মহারাজের ছোট ভাই এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।
প্রকল্প চুক্তি অনুযায়ী, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে কাজ শুরুর পর এক বছরের মধ্যে দুটি গার্ডার সেতু নির্মাণের কথা ছিল। প্রকল্প ব্যয় নির্ধারিত হয় ৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকায়। কিন্তু ঠিকাদার মূল দায়িত্বে না থেকে সাবঠিকাদার দিয়ে কাজ করান, এবং অভিযোগ রয়েছে, গার্ডার ছাড়াই সেতুর স্ল্যাব ঢালাই দেওয়া হয়।
স্থানীয়দের বাধা ও আপত্তির পর সেতুটিতে ফাটল দেখা দিলে এলজিইডি ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু ভাঙার আগেই সেটি ধসে পড়ল।
সাবঠিকাদার খোকন মিয়া দাবি করেন, ঢালাই শেষে কেউ সেন্টারিং খুলে ফেলায় সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মো. রায়সুল ইসলাম বলেন, নিয়ম না মেনে কাজ করায় পুরো স্ল্যাব ভেঙে নতুনভাবে নির্মাণ করতে হবে। মূল ঠিকাদারকে না পাওয়ায় প্রকল্পটি আটকে আছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঠিকাদার ও এলজিইডি কর্মকর্তাদের যোগসাজশে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার হয়েছে।