প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় চাকরির সুযোগ না থাকায় হতাশায় তরুণ সমাজ: জব্বার

প্রথম পাতা » সর্বশেষ » প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় চাকরির সুযোগ না থাকায় হতাশায় তরুণ সমাজ: জব্বার
সোমবার ● ১৮ মার্চ ২০১৯


ফাইল ছবি
ঢাকা সাগরকন্যা অফিস ॥
দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় চাকরির সুযোগ নেই। তাই পড়াশোনা শেষে চাকরি না পেয়ে হতাশায় ভুগতে হয় তরুণ সমাজকে। সোমবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুর জীবন করো রঙিন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমরা এখন ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড এর মধ্য দিয়ে গেলেও তরুণরা হতাশায় ভুগছে। কারণ প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় পড়াশোনা শেষে তরুণ-তরুণীরা চাকরি পাচ্ছে না। প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় চাকরির সুযোগ নেই। তাই তরুণ-তরুণীদের ক্যারিয়ারে চাকরির জন্য ‘স্কিল বেজড’ অথবা প্রযুক্তিনির্ভর পড়াশোনার দিকে মনোযোগী হতে হবে। আর এর জন্য পড়াশোনার একদম শুরুর স্তর থেকে কাজ শুরু করতে হবে। আমরা এখন পাঠ্যপুস্তকে প্রোগ্রামিং এবং রোবটিক্স বিষয়ক পড়াশোনার প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছি। আমাদের দায়িত্ব প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব তৈরি করা, প্রতিটি ক্লাস রুমকে ডিজিটাল করা এবং শিশুদের পড়াশোনার কনটেন্টকে ডিজিটাল করা।

শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভালোবাসা ও অনুরাগের উদাহরণ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ হলো মানবসম্পদ যেটিকে বঙ্গবন্ধু সঠিকভাবে চিনতে পেরেছিলেন। আর তাই স্বাধীনতার পর তিনি একসঙ্গে ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেন। বঙ্গবন্ধুর জীবনের যে বৈচিত্র্য এবং বহুমুখী অবদান সেটিকে আমরা এখনও মূল্যায়ন করতে পারিনি। কারণ মূল্যায়ন করতে হলে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে যতটুকু জানা দরকার তার অধিকাংশই আমরা এখনও জানি না।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা যদি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সামনে আমরা তুলে ধরতে পারি তাহলে তারা জীবন সংগ্রামে বাধা পেরিয়ে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা পাবে। বঙ্গবন্ধু তার মাত্র ৫৫ বছর বয়সী জীবনেই এই জাতির জন্য সব কাজ করে গেছেন। আমাদের শুধু সেটিকে অনুসরণ করতে হবে এবং সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, তথ্য প্রযুক্তি অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক এবিএম আরশাদ হোসেন, কন্ট্রোলার এবং সার্টিফাইং অথরিটির নিবন্ধক আবুল মনসুর মোহাম্মদ শরফুদ্দিন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব। আলোচনা সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

এফএন/কেএস

বাংলাদেশ সময়: ১৬:১৯:১৫ ● ৪১৩ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ