পর্দা নামলো অমর একুশে গ্রন্থমেলার

প্রথম পাতা » সর্বশেষ » পর্দা নামলো অমর একুশে গ্রন্থমেলার
শনিবার ● ২ মার্চ ২০১৯


ফাইল ছবি

ঢাকা সাগরকন্যা অফিস ॥
শেষ হলো এ বছরের অমর একুশের গ্রন্থমেলা। অত্যন্ত সুশৃংখল ও শান্তিপূর্ণভাবে মেলার সমাপ্তি হলো। শনিবার রাত নয়টায় বইয়ের জগতের এই মিলন মেলার পর্দা নামে। শেষ দিন শনিবার ৬৩টি নতুন বই প্রকাশ পায়। এ নিয়ে এবারের মেলায় ১ মাস ২দিনে সর্বমোট ৪ হাজার ৮৩৪টি নতুন বই প্রকাশ পেলো। গত বছরের মেলায় মোট নতুন বই প্রকাশ পেয়েছিল ৪ হাজার ৫৯০টি। এ বছর নতুন বইয়ের সংখ্যা ২৪৪টি বৃদ্ধি পেয়েছে।

অন্যদিকে মেলায় এবার ১ মাস দু’দিনে ৮০ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে। গত বছরের মেলায় বই বিক্রি হয়েছিল ৭০ কোটি ৫০ লাখ টাকার। গত বছরের মেলার চেয়ে এবার সাড়ে ৭ কোটি টাকা বিক্রি বেড়েছে। অমর একুশে গ্রন্থমেলা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলা একাডেমির পরিচালক ড. জালাল আহমেদ শনিবার বিকেলে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, মেলা উপলে গঠিত নীতিমালা বাস্তবায়ন কমিটির সার্ভে টিম মেলার এইসব তথ্য সংগ্রহ করেছে। গত মাসের পয়লা ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমিতে আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার উদ্বোধন করেছিলেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে পুরো ফেবুয়ারি মাসের আটাশ দিন মেলা চলে। তবে প্রকাশকদের দাবির প্রেেিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেলার সময় দু’দিন বৃদ্ধি করে ২ মার্চ পর্যন্ত বর্ধিত করেন। ফলে এক মাস দু’দিন এবারের মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এবারের মেলায় বাংলা একাডেমির বই বিক্রি হয়েছে ২ কোটি ৩৪ লাখ টাকার। প্যাভিলিয়ন ছিল ২৪টি। একটি বাদে ২৩টি প্যাভিলিয়নে কোটি টাকার উপরে বই বিক্রি হয়েছে বলে ড. জালাল জানান।

এ ছাড়া তিনটি প্যাভিলিয়নে দুই কোটি টাকার উপরে বিক্রি হয়েছে বলে জরিপকর্মীরা তথ্য দিয়েছেন। এবার মেলায় সর্বমোট ৭১৯টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের ৭৭০টি ইউনিট স্টল ছিল। মেলায় প্রকাশিত নতুন বইয়ের ওপর এবার জরিপ করেছে মেলা কমিটির প থেকে। কমিটির প থেকে একাডেমির কাছে পেশ করা তথ্যে জানা যায়, এবার মেলায় ১১৫০টি মানসম্মত বই প্রকাশ পেয়েছে। যে বইগুলোকে জরিপকর্মীরা উন্নতমানের বলে অভিমত রেখেছেন। মেলা উপলে গঠিত টাস্কফোর্স মেলায় অভিযান পরিচালনা করে ২২টি প্রতিষ্ঠানকে নীতিামালা ভঙ্গের অভিযোগ এনে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান নোটিশের জবাব না দেয়ায় ওই প্রতিষ্ঠানের স্টলটি একদিন বন্ধ রাখার শাস্তি প্রদান করা হয়।

ড. জালাল মেলা সম্পর্কে বলেন, এবার মেলা ছিল অসাধারণ। মেলার মূল থিম ‘ বিজয় ১৯৫২ থেকে ১৯৭১ : নবপর্যায়’কে কেন্দ্র করে মেলা ছিল নান্দনিকতায় ভরপুর। স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মেলার পরিবেশ ছিল অন্যান্য বারের চেয়ে নান্দনিক ও শোভিত। অন্যান্য সব ব্যবস্থা ছিল ল্যণীয়। নতুন নতুন আয়োজনও ছিল। সব মিলে এবারের মেলা সফলভাবে শেষ হলো বলে তিনি অভিমত রাখেন।
তিনি জানান, মেলায় এবার নিরাপত্তা কাজে বিভিন্ন বাহিনীর ১২শ’ সদস্য নিয়োজিত ছিলেন। তারা অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার পরিচয় রেখেছেন। সোহরাওয়াদী উদ্যানে মোড়ক উন্মোচন মঞ্চে এক মাস দুই দিনে ৮২৪টি নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এতে ৩ হাজারেরও বেশি লোক অংশ নেন। ৩০দিনে ‘লেখক বলছি’ মঞ্চে ৩১০ জন প্রবীণ, নবীন, তরুণ লেখক, প্রকাশক ও সাহিত্যিক তারা তাদের নতুন বই নিয়ে পাঠকের মুখোমুখি হন।

এফএন/কেএস

বাংলাদেশ সময়: ১৯:০০:২৩ ● ৪৭২ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ