মকসুদপুরে হতদরিদ্রের ঘর নির্মাণ কাজ পরিদর্শণে ইউএনও

প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ » মকসুদপুরে হতদরিদ্রের ঘর নির্মাণ কাজ পরিদর্শণে ইউএনও
শুক্রবার ● ১৬ জুলাই ২০২১


মকসুদপুরে হতদরিদ্রের ঘর নির্মাণ কাজ পরিদর্শণে ইউএনও

গোপালগঞ্জ সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

কোন মানুষ আশ্রায়হীন থাকবে না। কোন মানুষ রাস্তায় থাকবে না। ভাষমান মানুষদের আবাসন দেওয়ার লক্ষে মুজিব শতবর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষনা দিয়েছিলেন মানুষকে আমরা আবাসনের ব্যবস্থা করবো। আশ্রায়হীন পরিবারকে আশ্রায় দেওয়া ছিল প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন আজ বস্তবে পরিনত হয়েছে।
গোপালগঞ্জে মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: জোবায়ের রহমান রাশেদ অশ্রয়ন-২ প্রকল্প পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আপনাদের সাথে নিয়ে আমরা পরিদর্শন করলাম। আসলে সারা দেশে সবাই যেভাবে মনে করছে কিংবা আতঙ্কগ্রস্থ হচ্ছে যে ঘরগুলো হয়তো ভেঙ্গে যাবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ তো আসলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এই দুর্যোগে সারা দেশেই বন্যার পানিতে পাড় ভেঙ্গে যায়, এরকম সমস্যা হয়। এরকম হাতেগুনা কয়েকটি ঘরে সমস্যা হয়েছে। এজন্য আতঙ্ক হওয়ার কিছু নাই, সেটা অলরেডী আমরা দেখেছি। আমাদের ঘরগুলি সুন্দরভাবে করা হচ্ছে। আমি আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলছি আমাদের মুকসুদপুর উপজেলায় এরকম কোন সমস্যা হবে না যদিনা আল্লাহর গজব চলে না আসে। অনুরোধ করছি সবাই যেন আতঙ্কগ্রস্থ না হয়।
গবিন্দপুর ইউনিয়নের কদমপুর আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাসরত অন্ধ প্রতিবন্ধী হেনা বেগম বলেন, আমরা স্বপ্নেও ভাবতে পরিনি পাকা ঘরে বসবাস করবো। প্রধানমন্ত্রী আমাদের পাকা ঘর দিছে। আমরা খুব খুশি ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করি।
আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাসরত পাচন শেখ বলেন, উপজেলা প্রসাশন আমাদের ঘরগুলো অনেক সুন্দরভাবে নির্মান করে দিয়েছে। আমাদের রং ও ইলেট্রিক ওয়রিং অনেক সুন্দর ও নিরাপদভাবে করে দিয়েছেন। আমরা অনেক জায়গায় শুনি ইলেট্রিক সট হয়ে ঘরে আগুন ধরছে। কিন্তু আমাদের ইলেট্রিক ওয়ারিং নিরাপদ বজায় রেখে করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: ফাইজুল ইসলাম বলেন, মুকসুদপুর উপজেলায় প্রথম ধাপে ৫০টি ও দ্বিতীয় ধাপে ১শত ৫০টি  ঘর দেওয়া হয়েছে। প্রথম ধাপের ৫০টি ঘরের নির্মান কাজ শেষ করে সুভিধাভোগীদের কাছে চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের দুইটি ইউনিয়নের ১৮টি ঘরের নির্মন কাজ শেষ করে সুবিধাভোগিদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি ঘরগুলো নির্মান কাজ প্রায় শেষের দিকে এবং দ্রুত কাজ শেষ করে সুবিধাভোগীদের কাছে চাবি বুঝিয়ে দেওয়া হবে।  ঘরের নির্মান কাজের গুনাগত মান, নিরাপদ ইলেট্রিক ওয়ারিং ও রং তুলিতে ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হয়েছে।

এইচবি/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২২:৪২:২৯ ● ৩২৩ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ