কলাপাড়ায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে কৃষক পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » কলাপাড়ায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে কৃষক পরিবারের সংবাদ সম্মেলন
রবিবার ● ২৪ জানুয়ারী ২০২১


কলাপাড়ায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে কৃষক পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত জমি জাল-জালিয়াতি মামলা ও জোড়-জবরদস্তি করে দখলে নেয়াসহ জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে অসহায় কৃষক মো: বাহাউদ্দিন। রবিবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুর ১২ টায় কলাপাড়া রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে তিনি এ অভিযোগ করেন। ইউনিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি উত্তম কুমার হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ কারীর স্বজন ও বেশ কয়েকজন এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে কৃষক বাহাউদ্দিন বলেন, নীলগঞ্জ ইউনিয়নের হলদিবাড়িয়া গ্রামে ওয়ারিশ প্রাপ্ত জমি ভাগবন্টন নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। উক্ত জমি সংক্রান্ত বিষয় ভাগ-বাটোয়ারার জন্য আমার ভাই সাইফুল্লাহ বাদী হয়ে গত বছরের ১৭ জুলাই নীলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর দরখাস্ত দাখিল করে। এতে প্রতিপক্ষ এবং তাহার বাবা আমাদের উপর প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হয়। আমাদের নামে কলাপাড়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চাঁদাবাজীর অভিযোগ এনে সি,আর  ৫৫১/২০২০ নং এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এম,পি ২৪/২০২০ নং মোকাদ্দমা দায়ের করেন। প্রতিপক্ষ শাহাবুদ্দিন একজন সংবাদকর্মী এবং মানবাধিকার কর্মী পরিচয় দানকারী। উল্লেখিত মামলা তদন্তের জন্য নীলগঞ্জ ইউনিয়নের নাওভাঙ্গা মাদ্রাসার সুপার জিয়াউল ইসলাম (হাবিব) বরাবর বিজ্ঞ আদালত তদন্ত দিলে তিনি তদন্ত করিয়া ৫ জানুয়ারি বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চাঁদাবাজী মামলার প্রতিবেদন দাখিল করেন। উক্ত প্রতিবেদনে আমরা নির্দোষ প্রমানিত হলে প্রতিপক্ষ মো শাহাবুদ্দিন আমাকে সাংবাদিকতার ভয় দেখিয়ে এলাকা ছাড়ার এবং অমাকে দেখে নেয়ার হুমকী প্রদান করে। এছাড়া বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও মিডিয়ায় আমাদের নামে অসত্য ও  মিথ্যা তথ্য প্রচার করে আমাদের এলাকা ছাড়তে বাধ্য করবে বলে হুমকী  প্রদান করে।
তিনি আরো বলেন, আমি একজন অসহায় কৃষক, কোন রকম কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছি। দীর্ঘদিন পর্যন্ত আমার একমাত্র কন্যা লামিয়া অসুস্থ থাকায় তাকে চিকিৎসার জন্য বিগত ১০ জানুূয়ারি আমতলীতে নিয়ে যাই। পরের দিন বিকালে মেয়েসহ বাড়িতে ফিরে আসি। বাড়ি ফিরে দেখতে পাই আমার চাষকৃত বরবটির ক্ষেতের প্রায় ৩০০ গাছ জলিল হাওলাদার ছাগলে খেয়ে ফেলেছে। এ কথা আমি তাকে মোবাইল ফোনে জানাই। পরবর্তীতে আমি ক্ষেত থেকে ছাগল ধরার জন্য ধাওয়া করি। এসময় হঠাৎ প্রতিপক্ষ শাহাবুদ্দিন ও তার বাবা লাঠি-সোটা নিয়ে আমাকে এলোপাথারী পিটিয়ে আহত করে। একপর্যায়ে আমার চিৎকারে আমার স্ত্রী ও মেয়ে আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে প্রতিপক্ষ শাহাবুদ্দিন তাহার কোমড়ে থাকা ব্যবহৃত গামছা দিয়ে আমার গলায় প্যাচ দিয়ে আমাকে শ্বাষরোধ করে হত্যার প্রচেষ্টা চালায়।
কান্না জরিত কন্ঠে তিনি আরো জানান, এসময় আমার ৭ মাসের গর্ভবতী স্ত্রী ও কন্যা আমাকে বাঁচানোর জন্য শাহাবুদ্দিনের বাবার কাছে আকুতি জানালে বাবা ও ছেলে একযোগে আমার গর্ভবতী স্ত্রীকে এলোপাথারী মারধর করে। উপুর্যপুরী আঘাতে আমার স্ত্রীর প্রচুর রক্তক্ষরন হয়। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসার জন্য কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানেও প্রতিপক্ষ কতিপয় অচেনা লোকের মাধ্যমে ভর্তি প্রদানে বাঁধা দিলে আমরা কোন উপায় না পেয়ে তাৎক্ষনিক পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করাই। পরবর্তীতে কলাপাড়া জুডিশিয়াল আদালতে শাহাবুদ্দিন ও তার পিতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি। মামলা দায়েরের পর বর্তমানে তিনি ও তার পরিবারকে এলাকা ছাড়া করতে প্রচন্ড চাপ প্রয়োগ করছে সাংবাদিক পরিচয়দানকারী শাহাবুদ্দিন। তিনি জানান, আমরা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। তাই মিডিয়ার মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বহিনী ও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
এব্যাপারে অভিযুক্ত শাাহাবুদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এ ঘটনার সাথে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নাই। আমার পরিবারের সাথে বাকবিতন্ডা হয়েছে আমি এতোটুকুই জানি।

জেআর/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২১:৫০:২৯ ● ২৯৯ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ