মোট আক্রান্ত ৪ জন আমতলীতে ঔষধ কোম্পানীর এরিয়া ম্যানেজার করোনায় আক্রান্ত

প্রথম পাতা » বরগুনা » মোট আক্রান্ত ৪ জন আমতলীতে ঔষধ কোম্পানীর এরিয়া ম্যানেজার করোনায় আক্রান্ত
বৃহস্পতিবার ● ২৩ এপ্রিল ২০২০


খবর পেয়ে ওইরাতেই ইউএনও  মনিরা পারভীন আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ী পরিদর্শন শেষে লকডাউন ঘোষণা করেছেন।

আমতলী সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যালের আমতলী এরিয়া ম্যানেজার প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত  হয়েছেন। তিনি আমতলী পৌরসভার বন্দর সরকারী প্রাইমারী স্কুল সংলগ্ন ভাড়া বাসায় অবস্থান করছেন। বুধবার রাতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এতে মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। খবর পেয়ে রাতেই ইউএনও মনিরা পারভীন তার বাড়ী পরিদর্শন শেষে লকডাউন ঘোষণা করেছেন।
জানা গেছে, ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যালের আমতলী এরিয়া ম্যানেজার গত ১০ এপ্রিল থেকে জ্বর ও হালকা কাশি নিয়ে পৌরসভার আমতলী বন্দর সরকারী প্রাইমারী স্কুল সংলগ্ন শহীদুল ইসলাম তালুকদারের ভাড়া বাসায় অবস্থান করছিলেন। তার শরীরের অবস্থা খারাপ দেখে পরিবারের সদস্যরা গত সোমবার আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ শাহাদাত হোসেনে ব্যক্তিগত চেম্বারে নিয়ে আসেন। পরে তিনি তাকে করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন। ওইদিনই  হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার নমুনা সংগ্রহ করেন এবং ঢাকা রোগতত্ত্ব  রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) পাঠিয়ে দেয়। বুধবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে তার নমুনা প্রতিবেদন আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসে। ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে, তিনি প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ খবর এলাকায় পৌছলে মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে তিনি বাসার আইসোলেশনে আছেন।
খবর পেয়ে ওইরাতেই ইউএনও  মনিরা পারভীন তার বাড়ী পরিদর্শন শেষে লকডাউন ঘোষনা করে দিয়েছেন। এ নিয়ে আমতলী উপজেলার করোনা ভাইরাসে চারজন আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে গত ৯ এপ্রিল আওয়ামীলীগ নেতা জিএম দেলওয়ার হোসেন মৃত্যু বরণ করেন। আওয়ামীলীগ নেতার মৃত্যুর পর থেকে বরগুনা জেলা প্রশাসক আমতলী উপজেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। ওই সময় থেকেই আমতলী উপজেলা লকডাউন অবস্থায় আছে।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ঔষধ কোম্পানীর এরিয়া ম্যানেজার মুঠোফোনে বলেন, গত ১০ এপ্রিল জ্বর ও হালকা কাশি অনুভব করি। ওই সময় থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে বাসায় অবস্থান করছি কিন্তু জ্বর কমছে না। পরে গত সোমাবার আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বর্হিবিভাগে গেলে চিকিৎসক শাহাদাত হোসেন আমার নমুনা সংগ্রহ করেন। বুধবার রাতে শুনতে পারি আমি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। তিনি আরো বলেন, আমি বাসার আইসোলেশনে থেকেই চিকিৎসা নেব।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, ওই রোগী আমার ব্যক্তিগত চেম্বারে এসেছিল। আমি তাকে নমুনা পরীক্ষার করানোর জন্য পরামর্শ দিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শংকর প্রসাদ অধিকারী বলেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ওই রোগীকে বাসার আইসোলেশনে রেখেই যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, তার পরিবারের সদস্য ও তার সংস্পর্শে থাকা ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন বলেন, ওই রোগীর বাড়ী পরিদর্শন করেছি এবং বাড়ী  লকডাউন করা হয়েছে। তাকে বাসায় আইসোলেশনে রেখেই চিকিৎসাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

এইচএকে/এনইউবি

বাংলাদেশ সময়: ৮:৩৫:৩৪ ● ৪১১ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ