কলাপাড়ায় শিক্ষক সংকটে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম বিঘ্নিত

প্রথম পাতা » কুয়াকাটা » কলাপাড়ায় শিক্ষক সংকটে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম বিঘ্নিত
শনিবার ● ১৪ মার্চ ২০২০


কলাপাড়ায় শিক্ষক সংকটে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম বিঘ্নিত

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥

কলাপাড়ায় খাজুরা সরকারী প্রাথমিকবিদ্যালয় শিক্ষক সল্পতায় পাঠদানে প্রচন্ড বিঘœ সৃষ্টি। শিক্ষার্থীদের ভালো ফলাফল থেকে বঞ্চিত হওয়ার শংকায় রয়েছে অভিভাবক ও বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকবৃন্দ। বর্তমান সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে সারাদেশে শিক্ষা বিস্তার লাভে এ ব্যবস্থাকে তৃনমূলের দ্বোরগোড়ায় পৌছাতে পরীক্ষামূলক গুরুত্বপূর্ন এলাকার অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ৮ম শ্রেণিতে উন্নিত করেছেন। এই ধারাবাহিকতায় পর্যটন নগরী কুয়াকাটার খাজুরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। কিন্তু বিদ্যালয়টিতে পর্যাপ্ত শিক্ষক কাঠামো বাড়ান হয়নী। সম্প্রতি জেলায় ৪১৫জন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে, এর মধ্যে কলাপাড়ায় দেয়া হয়েছে ৬৭জন, তাও শিক্ষক সংকট থেকেই গেছে।

সরেজমিনে ঘুড়ে দেখা যায়, এ বিদ্যালয়টিতে শিক্ষক সংখ্যা রয়েছে ডেপুটিশনের ১জনসহ মোট ৪জন। যেখানে সঠিক পাঠদানে অন্তত ৮জন শিক্ষক প্রয়োজন, সেখানে ৪জন শিক্ষক দ্বারা বিদ্যালয়টি পরিচালিত হচ্ছে। পাঠদানে  ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষক দরকার ১০জন িিশক্ষা অফিসারদের অব্যবস্থাপনা, অবহেলায় বিদ্যালয়টিতে পূর্বের ন্যায় ৩-৪জন শিক্ষক দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। নামে আছে কাজে নেই তারই প্রতিফলন চলছে এখানে। এ সম্পর্কে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ নজরুল ফকির বলেন, ২০১২সালে বিদ্যালয়টি ৮ম শ্রেণিতে উন্নিত হওয়ার পর থেকে তৎকালিন যারা সংশ্লিষ্ট ছিলেন তারা স্কুলের এমন করুন অবস্থার কথা শিক্ষা ডিপার্টমেন্ট এর বিভিন্ন দপ্তরে জানানো হলেও কোন ফল পায়নি। তিনি আরও বলেন, এ বিষয় উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে জেলা শিক্ষা অসিারের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করলে উপজেলা শিক্ষা অফিসার শুধু এই দিচ্ছি দিব বলে আজ  পর্যন্ত শুধু আশ্বাসই দিয়ে আসছে। অথচ এমন স্কুলও রয়েছে যেখানে প্রাথমিক পর্যায় দশের অধিক শিক্ষক রয়েছে। এলাকাবাসীর প্রশ্ন, তাহলে শিক্ষা নীতির এ অব্যবস্থাপনার কথা আমরা কোথায় বলবো।

কলাপাড়ায় অনেকগুলো স্কুল রয়েছে যেখানে শিক্ষক সংখ্যা দশের অধিক। ওই সকল বিদ্যালয় ৬জন শিক্ষকদ্বারাও ভালোভাবে পাঠদান চালানো সম্ভব শুধু মানুুষিকতার অভাব। উল্টা-পাল্টা নিয়মে ৫ম শ্রেণির কোন স্কুলে শিক্ষক আছে দশের অধিক আর ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত বিদ্যালয় শিক্ষক আছে ৩-৪জন। এরকম বৈষম্য সরকারের পরীক্ষামূলক উদ্যোগ জনগুরুত্বপূর্ন এলাকার কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ৮ম শ্রেণিতে উন্নিত করণ শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার একটি কৌশল মাত্র। বিভিন্ন সূত্রে আরো দেখা যায়, কলাপাড়ার চাকামইয়া ইউনিয়নের বানিকান্ত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থী রয়েছে ৩৫জন, সেখানে কর্মরত শিক্ষক রয়েছে ৪জন, বর্তমানে দেয়া হয়েছে আরও একজন। রহমতপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থী রয়েছে ১৩৫জন, সেখানে কর্মরত শিক্ষক রয়েছে ৮জন, বর্তমানে দেয়া হয়েছে একজন। সেরাজপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থী রয়েছে ২১১জন, সেখানে কর্মরত শিক্ষক রয়েছে ৪জন, বর্তমানে দেয়া হয়েছে ২জন।

উপজেলা শিক্ষা অফিসারের দায়িত্বে থাকা (উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার) মোঃ আবুল বাশার বলেন, শিক্ষক সংকটের বিষয়টি অবগত আছি, তবে সম্প্রতি নিয়োগকৃতদের মধ্য থেকে ১জন করে দেয়া হয়েছে এবং ডেপুটিশনে আরও দুজন শিক্ষক দেয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে।

এমবি/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৬:৫৬:৫৬ ● ৩৫৮ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ