আমতলীতে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে মারধর!

প্রথম পাতা » বরগুনা » আমতলীতে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে মারধর!
মঙ্গলবার ● ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০


আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ সালমা বেগম।

আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি।
যৌতুক না পেয়ে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ এক সন্তানের জননী ছালমা বেগমকে স্বামী ইউসুফ বিশ্বাস মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত গৃহবধূকে স্বজনরা উদ্ধার করে মঙ্গলবার সকালে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। ঘটনা ঘটেছে কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া গ্রামে সোমবার রাতে।
জানা গেছে,  ২০১৩ সালে আমতলী উপজেলার ছোটনীলগঞ্জ গ্রামের কবির হাওলাদারের কন্যা ছালমা বেগমকে (২৮) পার্শ্ববর্তী কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া গ্রামের আমির বিশ্বাসের ছেলে ইউসুফ বিশ্বাসের ছেলের সাথে বিয়ে দেয়। বিয়ের সময় প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র দেন বাবা কবির হাওলাদার। বিয়ের পর থেকেই ছালমাকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে আসছে। স্বামী ইউসুফ বরিশাল মাহেন্দ্র গাড়ী মেরামতের কাজ করে। এ বছর জানুয়ারী মাসে একটি মাহেন্দ্র গাড়ী ক্রয় করবে বলে স্ত্রী ছালমার কাছে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবী করে। ছালমার দরিদ্র বাবা  এ টাকা দিতে অস্বীকার করে। এনিয়ে প্রায়ই ছালমাকে স্বামী ইউসুফ মারধর করে আসছে। সোমবার রাতে স্বামী ইউসুফ বরিশাল থেকে বাড়ী এসে স্ত্রী ছালমার কাছে  যৌতুকের টাকা দাবী করে। ছালমা তার বাবা কাছ থেকে এ টাকা এনে দিতে অস্বীকার করলে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছালমাকে বেধড়ক মারধর করে এবং ৫ বছরের শিশু পুত্র ইছাকে নিয়ে চলে যায়।  খবর পেয়ে স্বজনরা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
অন্তঃসত্ত্বা ছালমা কান্নাজনিত কন্ঠে বলেন, বিয়ের পর থেকেই ইউসুফ আমাকে নির্যাতন করে আসছে। ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে নিরবে সহ্য করে আসছি। মাহেন্দ্র গাড়ী ক্রয় করবে বলে এ বছর জানুয়ারী মাসে আমাকে বাবার বাড়ী থেকে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক এনে দিতে বলে। সোমাবার রাতে আমাকে বাবার বাড়ী থেকে যৌতুকের টাকা এনে দিতে বলে। আমি এ টাকা এনে দিতে অস্বীকার করলে আমাকে বেধড়ক মারধর করে আমার শিশু সন্তানকে নিয়ে গেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আলহাজ্ব মোঃ হারুন অর রশিদ বলেন, ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ ছালমাকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
স্বামী ইউসুফ বিশ্বাস মুঠোফোনে মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেন, আমি গত ১৫ ফেব্রুয়ারী ছালমাকে  আদালতের মাধ্যমে তালাক দিয়েছি।
আমতলী থানার ওসি মোঃ আবুল বাশার বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কেএইচএ/এনবি

বাংলাদেশ সময়: ১৫:৪৫:৩৭ ● ৪৫৩ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ