গলাচিপায় মন্দিরের জমি দখলে দুবৃত্তের হামলা

প্রথম পাতা » সর্বশেষ » গলাচিপায় মন্দিরের জমি দখলে দুবৃত্তের হামলা
বৃহস্পতিবার ● ২৪ অক্টোবর ২০১৯


গলাচিপায় মন্দিরের জমি দখলে দুবৃত্তের হামলা

গলাচিপা(পটুয়াখালী)  সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

গলাচিপা উপজেলর ডাকুয়া ইউনিয়নের চত্র ও আটখালী গ্রামের হিন্দু অধ্যশিত শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের জমি জোরপূবর্ক ভোগ দখলের পায়তারা মন্দির কমিটির সদস্যদের উপর হামলা ও হুমকি প্রদান করায় এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।মন্দির কমিটি ও মন্দিরের নামে জমি জোর পূর্বক ভোগ দখল করা সহ নানাবিধ সরযন্ত্র ও হয়রানী অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মন্দিরের জমি সিমানা নির্ধারনের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরকারী ভাবে সার্ভেয়ার নিয়োগ করেছেন।  সরজমিনে গিয়ে জানাযায়, মন্দিরের নামে ৫০ শতাংশ,  এবং বন্দোবস্ত পাওয়া ২.৫ একর জমি যাহার মধ্যে মন্দির আটচালা ঘর, সেবাইত ঘর, অফিস ঘর, পুকুর, লেট্রিন, ঘাটলা, ষ্টল ঘর সহ বিভিন প্রকার গাছপালা ও ধানি জমি যাহার আটখালী জে,এল নং ৪৭, খতিয়ান নং-৯৭৯,২৯৫/২৯৭ দাগ নং-৩৩৩০/৩৩৪৪,  সহ অন্যন দাগ মিলে মোট জমির পরিমান ৩ একর।
গত ২৮/২/২০০৬ ইং তারিখ উপজেলা খাস জমি বন্দোবস্ত মাধ্যমে মন্দিরের নামে ২.৫০ একর জমি যাহা বন্তোবস্ত দলিল নং ৬০৯/০৫, ১২১৭/০৬ তারিখ ০৬/০২/২০০৫ প্রাপ্ত হইয়া ২০১৮ সাল পর্যন্ত মন্দির কমিটি মন্দিরের নামে ভোগ দখলে ছিলো। মন্দির কমিটির বিরুদ্ধে স্থানীয় কতিপয় স্বার্থনেষী মহল গত ১০/১০/১৯ তারিখ গুরু দাস সিকদার, দিপক চন্দ্র রায় সিপক, মিলটন চন্দ্র ভূইয়া, প্রমল চন্দ্র ভূইয়া, পবিত্র চন্দ ভূইয়া, অনুপ চন্দ্র ভূইয়া সহ প্রায় ১৪ জন যুবক মন্দিরের মধ্যে ঠুকে মন্দির কমিটির সদস্যদের ও স্থানীয় কতিপয় উপস্থিত হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের প্রতি আকর্শিক পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দা, লাঠি ছোটা নিয়ে মন্দির  কমিটির আলোচনা সভা চলাকালীন সময় হামলাকারীরা হামলা চালায় এবং মন্দিরের বাউন্ডারির বেড়া ভাঙ্গীয়া প্রায় ১ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাারন করে এবং উপস্থিত সদস্যদের কাছ থেকে নগদ অর্থ মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। হামলাকারীরা  প্রায় ১ ঘন্টা মন্দিরের আশেপাশে তান্ডব চালায়। এ ব্যাপারে সুমন চন্দ্র হাজারী বাদি হয়ে গলাচিপা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে  গত ১১ সেপ্টেম্বর মামলা দায়ের করে।
এছাড়া মন্দির কমিটির সাথে সংশ্লিস্ট শতশত ভক্তবৃন্দ জানান বিবাদীগন এই মন্দিরের সম্পত্তি জোর পূর্বক ভোগ দখল করার পায়তায় চালাচ্ছে এবং স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী মহলের নেতৃত্রে বিাদীগন এলাকায় আতঙ্ক ছড়াচ্ছে এবং মন্দির কমিটির সদস্যদের হুমকি প্রদান করছে।
এই পরিস্থিতিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি হাজী মজিবুর রহমান প্যাদা ও ইউএনও নিয়োগ প্রাপ্ত সরকারী সার্ভেয়ার স্থানীয় লোকজন নিয়ে অদ্য ২৪/১০/১৯ তারিখ মন্দিরের জমি সিমানা নির্ধারনের জন্য এলাকায় অবস্থান করছে। বিষয়টি নিস্পত্তির জন্য ইতিমধ্যে মন্দির কমিটির স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা আওয়ামী লীগ প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

এসআর/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২১:৫১:৫৯ ● ৩৪৬ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ