
সাগরকন্যা প্রতিবেদক, নেছারাবাদ (পিরোজপুর)
নেছারাবাদে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)–এর চারিত্রিক বিষয়ে অমর্যাদাকর মন্তব্য এবং ছাত্রীদের হিজাব–বোরকা পরা নিয়ে আপত্তিকর আচরণের প্রতিবাদে শিক্ষীকা কাকলী রাণী মিস্ত্রীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থী–অভিভাবক ও স্থানীয়রা।
উপজেলার জলাবাড়ী ইউনিয়নের কামারকাঠী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষীকা কাকলী রাণী মিস্ত্রী। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে বিদ্যালয়সংলগ্ন সড়কে অভিভাবক–শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের ব্যানারে প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সাধারণ মানুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে প্রদর্শিত ব্যানারে উল্লেখ করা হয়, শ্রেণিকক্ষে মহানবী (সা.)–এর চরিত্র সম্পর্কে অমর্যাদাকর মন্তব্য ও অনুপযুক্ত আচরণে শিক্ষার্থী–অভিভাবকেরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে তাঁরা অভিযুক্ত শিক্ষীকার স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানান।
এক অভিভাবক বলেন, একজন শিক্ষক এমন আচরণ করতে পারেন—এটা আমরা কখনোই ভাবিনি। আমাদের সন্তানরা যাতে নিরাপদ, নৈতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ–সম্মত পরিবেশে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে, সেই প্রত্যাশা থেকেই আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি। যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষীকা কাকলী রাণী মিস্ত্রী এমন মন্তব্য করেছেন যা তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে। শিক্ষার্থীরা আরও জানায়, তিনি পুনরায় বিদ্যালয়ে যোগদান করলে তারা ক্লাস বর্জন করবে।
মানববন্ধন শেষে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা বিদ্যালয়ের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি এলাকা প্রদক্ষিণ করে পুনরায় বিদ্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুনীল বরন হালদার বলেন,
প্রায় চার বছর আগে শ্রেণিকক্ষে ওই শিক্ষীকা একটি অনুপযুক্ত মন্তব্য করেছিলেন। তখনই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পরে তিনি আদালতের মাধ্যমে পুনরায় দায়িত্ব পালনের সুযোগ পান। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে এক বৈঠকে অভিভাবকদের সঙ্গে কিছু উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে অপসারণ না করলে বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে।
মানববন্ধনে স্থানীয় সুধীজন, অভিভাবক ও সাধারণ মানুষ সংহতি জানান।
আরএ/এমআর