
সাগরকন্যা প্রতিবেদক, কুয়াকাটা (পটুয়াখালী)
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে। রবিবার রাতে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুই ব্যক্তি মারা গেছেন। এর ফলে মৃতের সংখ্যা ছয় জনে দাঁড়াল।
মৃতরা হলেন- খাজুরা এলাকার নুরজামাল ফকির এবং মিশ্রীপাড়া এলাকার হাবিব। লতাচাপলি ইউনিয়নের নারী ইউপি সদস্য রাহিমা আক্তার রুপা মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দুজনই প্রথমে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঢাকায় নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এর আগে ১৩ অক্টোবর একই এলাকায় দুই নারী, এক শিশু ও এক অন্তঃসত্ত্বা নারী ডেঙ্গুতে মারা গেছেন। ওই অন্তঃসত্ত্বা নারী হাসপাতালে কন্যাসন্তান জন্ম দেন।
বর্তমানে মহিপুর ও আশপাশের এলাকায় অন্তত ৫০-এর বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বরিশালের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শংকর প্রসাদ অধিকারী বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। আমরা মাইকিং ও সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছি। ইউনিয়নগুলোকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কুয়াকাটা-মহিপুর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাওসার হামিদ বলেন, ডেঙ্গুতে মৃত্যুর ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। ফগার মেশিন দিয়ে মশা নিধন করা হয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে প্রত্যেকের বাড়ি পরিষ্কার রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, কুয়াকাটায় ডেঙ্গু আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন, দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।