
সাগরকন্যা প্রতিবেদক, দুমকি (পটুয়াখালী)
বিজ্ঞানচর্চা ও উদ্ভাবনী চিন্তার বিকাশে পটুয়াখালীর দুমকিতে আনন্দমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে আন্তঃ সৃজনী বিজ্ঞান মেলা ২০২৫। সোমবার (২৭ অক্টোবর) পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) সৃজনীবিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয় এ মেলার।
দুইটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেয়-ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি একটি গ্রুপে এবং নবম, দশম ও একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অন্য গ্রুপে প্রতিযোগিতা করে। ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা নিজেদের উদ্ভাবনী প্রকল্পের মাধ্যমে সৃজনশীলতা, অনুসন্ধিৎসা ও বিজ্ঞানের প্রতি গভীর আগ্রহের প্রকাশ ঘটায়।

মেলায় ঘুরে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের বহিরাঙ্গন সাজানো হয়েছে রঙিন স্টলে। এসব স্টলে শিক্ষার্থীরা বিকল্প পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদন, রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং, সাশ্রয়ী গ্যাসীয় চুল্লি, আগ্নেয়গিরির প্রকৃতি ও বিস্ময়সহ মোট ১২টি উদ্ভাবনী প্রকল্প প্রদর্শন করে। দর্শনার্থী ও অভিভাবকরা প্রদর্শনীগুলো উপভোগ করেন এবং শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি প্রফেসর মোহাম্মদ জামাল হোসেন। তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানের প্রতি আরও আকৃষ্ট হতে হবে। উদ্ভাবনী দক্ষতা বাড়ানোর মাধ্যমেই দেশ এগিয়ে যাবে। শিক্ষকদেরও বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যবহারিক ক্লাসে আরও জোর দিতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্কুলের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আসাদুজ্জামান বলেন, বিজ্ঞান মেলার আয়োজন শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনুসন্ধিৎসা ও উদ্ভাবনী চিন্তার বিকাশ ঘটায় এবং বাস্তব জীবনে বিজ্ঞানের প্রয়োগ সম্পর্কে আগ্রহ সৃষ্টি করে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, শুধু পুঁথিগত বিদ্যা নয়, আমরা চাই শিক্ষার্থীরা নিজেদের উদ্ভাবনী শক্তিতে বলীয়ান হোক। আজকের ক্ষুদে বিজ্ঞানীরাই আগামী দিনের উন্নত বাংলাদেশের নির্মাতা।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন শিক্ষক সুজন মরগান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্কুলের শিক্ষিকা পারভীন নাহার, সৃজনীবিদ্যানিকেতন-এর প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন সৃজনী সংসদ-এর উপদেষ্টা শফিউল রাজিব, সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুল হুদা রিফাত ও রাজিবুল ইসলাম রন্টি।
প্রদর্শনী শেষে শ্রেষ্ঠ প্রকল্প উপস্থাপকদের হাতে ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন অতিথিরা। পুরো অনুষ্ঠান জুড়ে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ, যেখানে শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী চিন্তা ও সৃজনশীলতার উচ্ছ্বাসে মুখর হয়ে ওঠে পুরো ক্যাম্পাস।
এমআর