
সাগরকন্যা প্রতিবেদক, আমতলী (বরগুনা)
বরগুনার তালতলীতে ৯৯৫ টাকার দাখিলায় ১০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভূমি কর্মকর্তা মহাসিন খানের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী জলিল মীর মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়, ছোটবগী গ্রামের বাসিন্দা জলিল মীর ৩৩ শতাংশ জমির মধ্যে ৮ শতাংশ বিক্রি করেন। অবশিষ্ট ২৫ শতাংশের জন্য ভূমি উন্নয়ন কর দিতে গেলে পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা প্রথমে ৩৩ শতাংশের কর বাবদ ১৬ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে আলাদা কক্ষে ডেকে ২৫ শতাংশের জন্য ১০ হাজার টাকা দাবি করেন।
জলিল মীর জানান, এত টাকা একসঙ্গে দেওয়া সম্ভব নয় বললেও কর্মকর্তা সেদিনই টাকা দিতে চাপ দেন। বাধ্য হয়ে মেয়ের বন্ধক রাখা সোনার গয়না বিক্রি করে ১০ হাজার টাকা জোগাড় করেন। টাকা দেওয়ার পর ১১ মার্চ তিনি দাখিলা পান। পরে জমি বিক্রির সময় জানতে পারেন, দাখিলার সরকারি রশিদে মাত্র ৯৯৫ টাকা দেখানো হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে ভূমি কর্মকর্তা মহাসিন খান বলেন, কাগজে ত্রুটি, অনলাইন খরচ ও বকেয়া কর মিলিয়ে ১৭ হাজার টাকা ধরা হয়েছিল। তবে জলিল মীরের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে এবং অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (দায়িত্বপ্রাপ্ত ভূমি) উম্মে সালমা জানান, লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ তদন্তাধীন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে কর্মকর্তা মহাসিন খানকে মৌখিকভাবে কঠোর সতর্ক করা হয়েছে।