পটুয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোটি টাকার আত্মসাতের অভিযোগ

হোম পেজ » পটুয়াখালী » পটুয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোটি টাকার আত্মসাতের অভিযোগ
রবিবার ● ১০ আগস্ট ২০২৫


---

সাগরকন্যা প্রতিবেদক, পবিপ্রবি (পটুয়াখালী)

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোন শাখার দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রায় ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। তারা শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর লোন কিস্তি আদায় করে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে জমা না দিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ।

অভিযুক্তরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পেনশন সেলের উপ-পরিচালক মো. রাজিব মিয়া এবং একই শাখার ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট আবু ছালেহ মো. ইছা। তারা মোটরসাইকেল ও কম্পিউটার ক্রয় লোনের কিস্তির টাকা ভুয়া জমা স্লিপ দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন বলে জানা গেছে।

হিসাব শাখা সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জিপিএফ তহবিল থেকে লোন সুবিধা চালু করা হয়। অনেকেই কিস্তি নিয়মিত পরিশোধ করলেও ওই দুই কর্মকর্তা টাকা ব্যাংকে জমা না করে আত্মসাৎ করেন। সম্প্রতি অভ্যন্তরীণ অডিটে হিসাবের গরমিল ধরা পড়ে। পরে অভিযুক্তরা ৩২ লাখ টাকা ফেরত জমা দেন।

অভিযোগ অনুযায়ী, একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এর মধ্যে উপ-রেজিস্ট্রার মো. খাইরুল বাসার মিয়া ১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা, সেকশন অফিসার সবুর খান ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, কিচেন হেলপার আবু জাফর শিকদার সাড়ে ৬ লাখ টাকা, ফটো মেশিন অপারেটর শামীম খান ৩ লাখ টাকা, ঝাড়ুদার ফরিদা বেগম ২ লাখ টাকা, অ্যাম্বুলেন্স চালক আলমগীর হোসেন ৭৬ হাজার ৭২৪ টাকা এবং অফিস সহায়ক মাসুদ ৩ লাখ টাকা হারিয়েছেন।

অভিযুক্ত আবু ছালেহ মো. ইছা বলেন, ‘এটি আত্মসাৎ নয়, হিসাবের গরমিল হয়েছে। শিগগির সমাধান হবে।’ অপর অভিযুক্ত রাজিব মিয়াকে পাওয়া যায়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব শাখার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন জানান, আর্থিক অসামঞ্জস্য তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি কাজ করছে। অভিযুক্তরা ভুল স্বীকার করে আংশিক অর্থ ফেরত দিয়েছেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রথমে টাকা উদ্ধার করা হবে, এরপর কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২২:৫৮:২৫ ● ২৮ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ