আমতলী উপজেলা কম্পাউন্ডের সরকারি গাছ উধাও!

প্রথম পাতা » বরগুনা » আমতলী উপজেলা কম্পাউন্ডের সরকারি গাছ উধাও!
রবিবার ● ১৬ মে ২০২১


আমতলী উপজেলা কম্পাউন্ডের সরকারি গাছ উধাও!

আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

বরগুনার আমতলী উপজেলা পরিষদের ভিতরে ৪০বছর বয়সী একটি মুল্যবান মেহগনি গাছ রাতের আধারে উধাও হয়ে গেছে। এ মুল্যবান গাছটি রাতের আধারে উধাও হয়ে যাওয়ায় উপজেলা পরিষদের পরিবেশ ও সৌন্দর্য্য নষ্ট হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকার মানুষের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। দ্রুত এ ঘটনরা সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবী করেছেন সাধারণ মানুষ। ইউএনও অফিসের গাছ কেটে নেয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সুষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় রবিবার ইউএনও মোঃ আসাদুজ্জামান থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন।
জানাগেছে, ১৯৮২ সালে আমতলী উপজেলায় রুপান্তিত হয়। ওই সময়ে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে বিভিন্ন প্রজাতির কয়েকশত গাছ রোপন করা হয়। ওই গাছগুলো বৃহৎ গাছে পরিনত হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলা পরিষদ মুল ফটকের ভেতরে ছিল বৃহৎ একটি মেহগনি গাছ। ওই গাছটি পরিষদের পরিবেশ ও সৌন্দর্য্য বর্ধণ করতো। ওই গাছের ছায়ায় প্রতিদিন উপজেলা পরিষদে আসা শত শত মানুষ আশ্রায় নিতো। বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতরে অফিস বন্ধ হয়ে যায়। ওই সুযোগে একদল দুর্বৃত্ত রাতের আধারে গাছটি কেটে নিয়ে গেছে। গাছটির ডাল পালা ও পাতা পড়ে আছে। দৃর্বৃত্ত্বরা গাছটি কেটে নিয়ে গাছের গোড়ার গর্ত মাটি দিয়ে ভরাট করে দিয়েছে। গাছটি কেটে নিয়ে যাওয়ার এলাকার মানুষের মাঝে ক্ষোভ এবং চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবী জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। এ ঘটনায় রবিবার ইউএনও মোঃ আসাদুজ্জামান আমতলী থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন।
রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, গাছটির গোড়ার গর্ত মাটি দিয়ে ভরা। আশে-পাশে গাছের ডাল-পালা ও পাতা পড়ে আছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছক কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ১৪-১৫ জন দুর্বৃত্ত্বরা গাছটি কেটে নিয়ে গেছে। তারা আরো বলেন, দুর্বৃত্ত্বদের ভয়ে আমরা কাছে যায়নি।
উপজেলা পরিষদে আসা মোঃ রফিকুল ইসলাম ও আব্দুর রহমান বলেন, উপজেলা পরিষদের ভেতরের কেটে নেয়া মেহগনি গাছটির ছায়ায় শত শত মানুষ আশ্রয় নিতো। সেই গাছটি কেটে নিয়ে যাওয়া অত্যান্ত দুঃখজনক। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতার এনে শাস্তির দাবী জানাই। স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল জব্বার বলেন, গাছটি কেটে ফেলায় উপজেলা পরিষদের সৌন্দর্য্য নষ্ট হয়ে গেছে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, রাতের আধারে গাছ কেটে নেওয়ার বিষয়ে থানায় ডায়েরী করেছি। পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনার সাথে জড়িতদের কোন ছাড় দেয়া হবে না।
আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মোঃ মতিয়ার রহমান বলেন, উপজেলা পরিষদের ভেতরের মুল্যবান গাছ রাতের আধারে কেটে নেয়ায় ঘটনা অত্যান্ত দুঃখজনক। এটা পরিবেশের জন্য হুমকি সরুপ। এটা কোনো ভাবেই মেনে নেয়া যায়না। প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করছি।
আমতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ¦ গোলাম ছরোয়ার ফোরকান বলেন, বন্ধের মধ্যে দৃর্বৃত্ত্বরা উপজেলা পরিষদের মুল ফটকের ভেতরের একটি মুল্যবান মেহগনি গাছ কেটে নিয়ে গেছে। এতে পরিষদের সৌন্দর্য্য নষ্ট হয়েছে। তিনি আরো বলেন ইউএনওকে এ নিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছি। যারা এ ঘটনার সাথে জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া হবে।

এমএইচকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৬:৪৪:০২ ● ৬৮৯ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ