এরশাদের অফিস থেকে ৪৩ লাখ টাকা চুরি

প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ » এরশাদের অফিস থেকে ৪৩ লাখ টাকা চুরি
মঙ্গলবার ● ৩০ এপ্রিল ২০১৯


 

  1. এরশাদের অফিস থেকে ৪৩ লাখ টাকা চুরি

  2. ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥
    ঢাকার বনানীতে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের কক্ষ থেকে ৪৩ লাখ টাকা চুরি হয়েছে বলে দলটির একজন নেতা জানিয়েছেন। কার্যালয়ের নিচতলায় চেয়ারম্যানের কক্ষের লকার ভেঙে টাকা লুটে নেওয়া হয় বলে দলটির দপ্তর সম্পাদক সুলতান মাহমুদ জানিয়েছেন।
    সোমবার রাতে এই চুরির ঘটনা ঘটে বলে জাতীয় পার্টির নেতারা জানান। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান বলে পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মোশতাক আহমেদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সেখানে চারজন নিরাপত্তা রক্ষী ছিল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
    সুলতান মাহমুদ বলেন, অফিসের স্টাফদের বেতন দেওয়ার জন্য এই টাকা এনে রাখা হয়েছিল। এদিকে, চুরি যাওয়া টাকা রংপুরে এরশাদের বাড়ি বানাতে নেওয়ার কথা ছিল বলে দলটির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ জানিয়েছেন। মঙ্গলবার সকালেই ওই টাকা নিয়ে রংপুরের উদ্দেশে যাত্রা করার কথা ছিল বলে জানান তিনি। তার আগের রাতেই সব চুরি হয়ে গেল। সকালে অফিসের কর্মীরা এসে দেখেন তিনটি কক্ষের তালা ভাঙা। পরে তারাই এসব রুমের সবগুলো লকার খোলা পেয়ে নেতাদের খবর দেন। সেখান থেকে মোট ৪৩ লাখ টাকা চুরি হয়েছে বলে মসিউর রহমান রাঙ্গাঁও জানিয়েছেন।
    বনানীর ১৭/১ সড়কের তিনতলা ‘রজনীগন্ধা’ বাড়িটি নব্বইয়ের দশক থেকে রাজনৈতিক কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ভবনটির দ্বিতীয় তলায় এরশাদের অফিস কক্ষ। তবে শারীরিকভাবে অসুস্থ নব্বই পেরুনো এরশাদ বেশ কিছু দিন ধরে ভবনের নিচতলায় তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের কক্ষে বসতেন। দুপুরে ওই ভবনে গিয়ে দেখা যায়, নিচতলায় জাহাঙ্গীরের কক্ষের পাশাপাশি মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ এবং দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য খালেদ আখতারের কক্ষের সব লকার ও সিন্দুক ভাংচুর করা হয়েছে। এই তিনটি কক্ষেই টাকা ছিল, তবে সবচেয়ে বেশি টাকা এরশাদের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীরের কক্ষে ছিল বলে জানান রাঙ্গাঁ। তবে কার কক্ষে কত টাকা ছিল, তা স্পষ্ট করেননি জাতীয় পার্টির নেতারা। সকালে চুরির খবর পেয়ে সেখানে যান পুলিশ সদস্যরা।
    এ ঘটনায় ওই ভবনের চার নিরাপত্তা রক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা জানিয়েছেন পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মোশতাক আহমেদ। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ চুরির এই ঘটনা তদন্তে হাত দিয়েছে বলে রাঙ্গাঁ জানিয়েছেন। তিনি বলছেন, তাদের ভবনে সিসি ক্যামেরা থাকলেও তা বিকল ছিল। তবে তাতে আশা ছাড়ছেন না তারা। আমাদের অফিসে সিসি ক্যামেরা যেটা ছিল, সেটা খারাপ ছিল। তবে আমাদের অফিসের সামনে অনেক সিসি ক্যামেরা আছে। চুরি কারা করেছে, তা সহজেই ধরা যাবে। চোর তালা ভেঙে ও চাবি দিয়ে খুলে টাকা নিয়ে গেছে। আমরা জানতে পারব, কারা চোর। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের চিন্তা চলছে বলে রাঙ্গাঁ জানিয়েছেন।

    এফএন/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৩:২৪:০২ ● ৪৭৬ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ