আগামী সপ্তাহ থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বয়ে যেতে পারে তাপপ্রবাহ

প্রথম পাতা » আবহাওয়া » আগামী সপ্তাহ থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বয়ে যেতে পারে তাপপ্রবাহ
বুধবার ● ১৭ এপ্রিল ২০১৯


আগামী সপ্তাহ থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বয়ে যেতে পারে তাপপ্রবাহ

ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥

বৈশাখের শুরুতে বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রা। ঝড়-বৃষ্টির পর বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় অনুভূত হচ্ছে অস্বস্তির গরম।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগামীকাল শুক্রবারের পর অর্থাৎ আগামী সপ্তাহ থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বয়ে যেতে পারে তাপপ্রবাহ। মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ ৩৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনার অনেক এলাকায় তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে। তবে রাজশাহী, রংপুর ও সিলেটে ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে।
বুধবারের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছুকিছু জায়গায় এবং চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়বে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আবহাওয়াবিদ আফতাব উদ্দিন বলেন, চৈত্রের শেষে কালবৈশাখীর দাপটের সঙ্গে বজ্রঝড় ও শিলা বৃষ্টি ছিল। এখন তাপমাত্রা বাড়ছে। আরও কয়েকদিন তা অব্যাহত থাকবে। বাতাসে জলীয়বাষ্প বেশি থাকায় ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি রয়েছে জনজীবনে। তিনি বলেন, ১৮ থেকে ২০ এপ্রিলের মধ্যে বয়ে যেতে পারে তাপপ্রবাহ। চলতি মাসের শেষ দিকে ফের কালবৈশাখীর দাপট থাকবে; সাগরে নিম্নচাপেরও শঙ্কা রয়েছে। থার্মোমিটারের পারদ চড়তে চড়তে যদি ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠে, আবহাওয়াবিদরা তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলেন। তা বেড়ে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অফিস।
এ মৌসুমে প্রতিদিন বিকালেই কালবৈশাখীর আশঙ্কা রয়েছে জানিয়ে সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন আফতাব উদ্দিন। এপ্রিল-মে মাসের আবহাওয়ায় কালবৈশাখী, বজ্রঝড়ের অনুকূল পরিবেশ থাকে। বিশেষ করে উত্তর-উত্তর পশ্চিম এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে কালবৈশাখীর দাপট বেশি। এমন সময়ে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে বিদ্যুৎ চমকানো ও ঘন ঘন বজ্রপাতের মত পরিস্থিতি তৈরি হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। কালবৈশাখীর মৌসুমে বজ্রঝড় বেশি হয়। বাংলাদেশে প্রতি বছর বজ্রপাতে গড়ে দুই থেকে তিনশ মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
এপ্রিলের দীর্ঘমেয়াদী আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ মাসে সাগরে এক থেকে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ।

এফএন/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৫:৩৪:২৯ ● ৬৭৩ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ