‘বাউফলে স্বামীত্বের দাবীতে প্রেমিকার অনশন’ শীর্ষক একটি সংবাদ গত ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সাগরকন্যা অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত হলে আমার দৃষ্টিগোচর হওয়ায় এ সংবাদের সাথে আমি ভিন্নমত পোষণ করছি।
বাস্তবে, সংবাদটিতে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরা হয়নি। লিজা আক্তার ছনিয়ার পিতা আবুল বশারের সাথে জায়গা জমি নিয়ে আমার বিরোধ চলছে। আবুল বশার আমার এবং আমার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে। ইতিমধ্যে আদালতে একাধিক মামলা মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে। আমাদের পরিবারকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আমার ছেলে সুমন গাজির সাথে আবুল বশার গাজির মেয়ে ছনিয়ার প্রেমপ্রীতি আছে মর্মে মিথ্যা প্রচারণা চলছে।
সর্বশেষ কিছু লোকের প্ররোচনায় ২৪ ফেব্রুয়ারি ছনিয়া আমার বাড়ির উঠানে এসে ডাকচিৎকার দিয়ে মাটিতে শুয়ে বসে আমার ছেলে সুমনকে স্বামী হিসেবে দাবি করার অভিনয় করে। বাউফল থানা পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে প্রেম কিংবা বিয়ের প্রমানপত্র চাইলে ছনিয়া কোন কিছুই দেখাতে পারেনি। এরপর পুলিশ ছনিয়াকে আমার বাড়ির উঠান থেকে নিয়ে তার বাবা-মায়ের কাছে তুলে দেয়। প্রকাশিত খবরে প্রকৃত ঘটনা উল্লেখ না করে সংবাদ প্রচার করায় আমি সম্মানের সাথে এর প্রতিবাদ করছি।
আক্কেল গাজি
সাং-বাজেমহল, উপজেলাঃ বাউফল, জেলাঃ পটুয়াখালী।
প্রতিবেদকের বক্তব্যঃ
ঘটনার দিন সরেজমিন লিজা আক্তার ছনি এই প্রতিবেদকের কাছে সুমনের সাথে তার দীর্ঘদিনের প্রেম আছে এবং গোপণে বিয়ে করেছেন মর্মে বক্তব্য দেন। এসময় সুমনের পরিবারের সদস্যসহ অনেক লোকজন ছিল। অপরদিকে ছনিয়া কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম্য আদালতে বিচার চাহিয়া লিখিত অভিযোগ করেছেন। যাহা প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে।
অতুল পাল, সাগরকন্যা প্রতিনিধি, বাউফল, পটুয়াখালী।