গলাচিপায় প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেতে চান অসহায় শহিদ‘র পরিবার!

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » গলাচিপায় প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেতে চান অসহায় শহিদ‘র পরিবার!
শনিবার ● ৯ এপ্রিল ২০২২


গলাচিপায় প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেতে আর্তি অসহায় পরিবারের!

গলাচিপা (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

পটুয়াখালীর গলাচিপায় প্রধানমন্ত্রীর ঘরের আশায় পথে পথে ঘুরছে হত দরিদ্র শহীদ হাওলাদার। শহীদ হাওলাদার হচ্ছেন উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডেও আলগীতাফালবাড়িয়া গ্রামের হাচন হাওলাদারের ছেলে। স্ত্রী ও তিন কন্যা সন্তানের পরিবারটির একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি তিনি নিজেই। জীবন যুদ্ধের এক অসহায় দিনমজুরের জীবনের গল্প বড়ই করুণ। জীবিকার তাগিদে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে মানুষের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। নিজের বলতে বাবার দেয়া দুইশতক জায়গা আছে। আর সেই জায়গায় কোন রকম ছাউনি দিয়ে থাকে শহীদ হাওলাদার। ঘর তোলার সামর্থ্য তার নেই। কাজ করতে করতে হাঁপিয়ে উঠেছেন শহীদ হাওলাদার। বয়স হয়ে গেছে। আগের মত আর কাজ করতে পারেন না বলেই তিনি আজ হতাশাগ্রস্থ। পরের কাজ করে কত আর ভাল থাকা যায়। সংসারে অভাব অনটন লেগে থাকে প্রতিটি মূহুর্ত।
এ বিষয়ে শহীদ হাওলাদার বলেন, সময়ের সাথে সাথে সবকিছুই আজ কেমন যেন অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে। নিজের ইচ্ছা থাকলেও মেয়েদেরকে ঠিকমত মানুষ করতে পারছি না। আমার কোন ছেলে না থাকায় সংসারের ঘানি আমাকে এখনো বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। দিনদিন শরীরে কাজ করার ক্ষমতা কমে যাইতেছে। জীবনে মনে হয় ঘর তুলে শান্তি করা হবে না আমার। স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে দিন কাটাতে হয় বড় কষ্টের মাঝে। বর্ষা এলেই নেমে আসে দূর্ভোগ। বৃষ্টির পানিতে ভিজে যায় ঘরের ভিতরের সবকিছু। ঘর ঠিক করানোর মত টাকাও নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গরিব মানুষেরে ঘর দিতেছেন। তাই আমি যদি একটা ঘর পেতাম তাহলে শেষ বয়সে একটু সুখে কাটাতে পারতাম।
ইউপি সদস্য মো. মামুন সরদার বলেন, আসলেই শহীদ অসহায় ও গরিব। সরকারি একটি ঘর পেলে তার খুব উপকার হতো। আমখোলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান মনির বলেন, সরকারি ভাবে একটি ঘর পেলে অসহায় পরিবারটি ভালো থাকতো। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিষ কুমার বলেন, আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি। অসহায় পরিবার হলে অবশ্যই ঘর পাবে।

এসডি/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৬:২৭:০৮ ● ৪৯৪ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ