সিটি নির্বাচন: ঢাকার প্রধান সড়কগুলোতে বাস চলবে

প্রথম পাতা » রাজনীতি » সিটি নির্বাচন: ঢাকার প্রধান সড়কগুলোতে বাস চলবে
বুধবার ● ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯


ফাইল ছবি
ঢাকা সাগরকন্যা অফিস ॥
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দণি সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচন উপলে রাজধানীতে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে প্রধান প্রধান সড়কে বাস চলাচলের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি। প্রবেশপত্র দেখিয়ে পরীার্থীরা প্রাইভেট কার ব্যবহার করতে পারলেও অহেতুক ঘোরাফেরার জন্য এই যান ব্যবহারের নিষেধ করা হয়েছে। ভোটের আগের দিন বুধবার বিকেলে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরে অনেক ইমার্জেন্সি বিষয় আছে। এয়ারপোর্টে একজন যাত্রী যাবে, তার জন্য কী বন্ধ থাকবে? অ্যাম্বুলেন্স যাবে, এক্সপোর্ট-ইমপোর্টের জিনিসগুলো যাবে, এরকম জিনিসগুলো বিবেচনা করে পুলিশকে নির্দেশনা দেয়া আছে, যাতে এভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়। ব্যাপকভাবে সব বন্ধ করে দেয়া হয়নি। বাস চলতে পারবে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, মেইন রোডে চলবে। প্রাইভেট কারসহ অন্যান্য যানবাহনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না, প্রাইভেট ভেহিকেল নির্ধারিত কোনো কাজ ছাড়া চলাচল করতে পারবে না। ঘোরাফেরা করার জন্য তো আর চলবে না। এটা নিয়ে বেশি আলোচনা করার দরকার নেই। ঢাকা শহরে তো অনেক ধরনের ইমার্জেন্সি বিষয় থাকে-যা আইন-শৃঙ্খলা রার দাযিত্বে থাকবেন, তারা এগুলো বুঝবেন।

এ সময় যান চলাচলের েেত্র ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে যানবাহন চলবে। আর জরুরি প্রয়োজনে যারা যান (প্রাইভেট কার ও মটরসাইকেল) ব্যবহার করবে, তারা আমাদের কাছ থেকে স্টিাকার সংগ্রহ করবে। এ ছাড়া পুলিশকে যদি কেউ তার প্রয়োজনের কথা বলে, তারাও কিন্তু তাদের অনুমতি দেবে। আর স্যার (সিইসি) যেটা বললেন, অহেতুক ঘোরাফেরার জন্য অকারণে তো যানবাহন চলতে দেয়া যাবে না। অন্যথায় একটা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে। পরীার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র দেখিয়ে যান ব্যবহার করতে পারবে।

সাধারণ ছুটির বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, ঢাকা শহর পুরোটাতেই ছুটি থাকবে এটা আমরা বিজ্ঞপ্তি দিয়েও জানিয়েছি। স্কুল-কলেজ ও সরকারি অফিস-আদালত বন্ধ থাকবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। ৩০ ডিসেম্বরের সংসদ নির্বাচনের পরে এই নির্বাচনেও অনেক দল অংশগ্রহণ করছে না, এটাকে কিভাবে মূল্যায়ণ করছেন-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন-‘বিভিন্ন কারণে তারা (রাজনৈতিক দল) অংশ নেয়নি। একটা কারণ হলো-মাত্র একবছর মেয়াদে তারা নির্বাচিত হবেন। এরপর আবার নির্বাচন হবে। সে কারণে ভোটার ও প্রার্থীদের আগ্রহ কম থাকতে পারে। আর সব দল অংশগ্রহণ করেনি, এতে আমাদের কিছু করার নেই। এটা তো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। আমরা তো সকলকে আহ্বান করেছিলাম, যেহেতু তারা আসেনি, আমাদের কিছু করার নেই। বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেয়ার বিষয়ে কেএম নূরুল হুদা বলেন, আমাদের কোনো ব্যর্থতা নেই। আমাদের কোনো দুর্বলতা নেই। সঠিক নির্বাচন করতে যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েছি। তারা রাজনৈতিক মাঠে না গেলে, নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে, এটা তো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। এ নিয়ে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করলে তো হবে না।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের প্রতি অনাস্থা নয়, দলগুলো অংশগ্রহণ করলে আমরা খুশি হতাম। না করাটা, আমাদের জন্য একটা অস্বস্তিকর অবস্থা। সিটি নির্বাচনের প্রস্তুতি তুলে ধরে সিইসি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য নির্বাহী ও জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ পর্যাপ্ত সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা রাকারী বাহিনীর সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব পর্যবেক থাকবে। বিজিবি, পুলিশ ও র‌্যাবের টিম টহলে থাকবে। এ ছাড়া বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। ইতোমধ্যে কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিণ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠানের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। ডিএনসিসির মেয়র পদে উপ নির্বাচনে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাধারণ ওয়ার্ডে ১১৬ জন ও সংরতি ওয়ার্ডে ৪৫জন প্রার্থী রয়েছে। আর ডিএসসিসির সাধারণ ওয়ার্ডের নির্বাচনে ১২৫ জন ও সংরতি ওয়ার্ডে ৪৫ প্রার্থী অংশ নিয়েছেন। এছাড়া ঢাকা উত্তরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের উপ-নির্বাচনে ৭জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে ৯ নম্বর সাধারণ আসনে এরইমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন এক প্রার্থী।

এফএন/কেএস

বাংলাদেশ সময়: ১৬:২৪:৪৩ ● ৩৮০ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ