পবিপ্রবিতে নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধে-দুমকিতে সচেতন নাগরিকের প্রতিবাদ বিক্ষোভ সমাবেশ

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » পবিপ্রবিতে নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধে-দুমকিতে সচেতন নাগরিকের প্রতিবাদ বিক্ষোভ সমাবেশ
মঙ্গলবার ● ১ ডিসেম্বর ২০২০


পবিপ্রবিতে নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ

দুমকি (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

 

 

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) নানা অনিয়ম-দূর্ণীতি, স্বজনপ্রীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে সচেতন শিক্ষার্থী ও নাগরিকের ব্যানারে ছাত্রলীগ।
মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় উপজেলা আ’লীগ কার্যালয়ের সামনে থেকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: সবুজ সিকদারের নেতৃত্বে ৩শতাধিক নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের অংশ গ্রহনে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ও বিশ^বিদ্যালয় ক্যাম্পাসের একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন হয়ে থানাব্রিজস্থ আ’লীগ কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়। সমাবেশে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সবুজ শিকদারসহ অন্যান্য নেতৃবৃৃন্দ বক্তৃতা করে পবিপ্রবি’র স্বজনপ্রীতির নিয়োগ বাণিজ্য ঠেকাতে সকল নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার দাবি করেছেন। অন্যথায় আরও কঠর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেয়া হয়।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: সবুজ শিকদার অভিযোগ করেন, পবিপ্রবি’র ভিসি, রেজিষ্ট্রারসহ প্রভাবশালী একটি চক্র সুকৌশলে নিয়োগ বাণিজ্য শুরু করেছেন। প্রতিটি শিক্ষক পদে ২০-২৫লক্ষ টাকা, সেকশন অফিসার পদে ১৫-২০লক্ষ টাকার বাণিজ্য হচ্ছে। চিহ্নিত কয়েকজন দালাল (ভিসির একান্ত অনুগত) চাকুরী প্রত্যাশীদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এছাড়া রেজিষ্টার’র ছেলে ও একজন প্রভাবশালী কর্মকর্তার মেয়ের নিয়োগ স্বজনপ্রীতির আশ্রয়ে ইতোমধ্যে চুড়ান্ত করা হয়েছে। এইসব অনিয়ম-স্বজনপ্রীতি ও নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ হওয়া দরকার। আজকের বিক্ষোভ মিছিল করেছি, এতে যদি বিতর্কিত নিয়োগ বন্ধ করা না হয়, ভবিষ্যতে বিশ^বিদ্যালয় ক্যাম্পাস অবরুদ্ধসহ অচল করে দেয়ার হুশিয়ারীও দেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি পবিপ্রবিতে পৃথক দু’টি বিজ্ঞপ্তিতে ১২জন শিক্ষক, ১জন রেজিষ্ট্রার, ১জন পিএ টু প্রো-ভিসি, ২জন সেকশন অফিসার, ১জন উপ-খামার তত্ত্বাবধায়ক, ১জন অফিস সহায়কসহ বিভিন্ন পদের নিয়োগ কার্যক্রম শুরু চলছে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর পরই ক্যাম্পাসে নিয়োগ বাণিজ্যের পাশাপাশি জনৈক প্রভাবশালী শিক্ষকের মেয়েকে শিক্ষক পদে, রেজিষ্ট্রার পদে একজন বিভাগী প্রার্থী, সেকশন অফিসার পদে জনৈক প্রভাবশালী শিক্ষকের ছেলে ও নিকটাত্মীয়ের নিয়োগ চুড়ান্তের গুণজন ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া প্রায় প্রতিটি পদের বিপরীতে লাখ লাখ টাকার দেনদরবারের খবর প্রকাশ পায়। বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবশ্য এসব অভিযোগ আমলে নিচ্ছে না।
এ বিষয়ে পবিপ্রবি’র রেজিষ্ট্রার প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত বলেন, বিক্ষোভ মিছিলের খবরটি শুনেছি, নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে ছাত্রলীগের হস্তক্ষেপ অনাকাঙিখত। যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে তার কোন ভিত্তি নেই। স্থানীয় তদবিরবাজ মহলের অনৈতিক চাওয়া ও তদবির না রাখায় ক্ষুব্ধ হয়ে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করতেই ছাত্রলীগকে ব্যবহার করে থাকতে পারে।

এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২১:১৩:৪৭ ● ২৯৪ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ