কলাপাড়ার চম্পা হত্যা মামলা পিবিআইকে পুণ:তদন্তের নির্দেশ

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » কলাপাড়ার চম্পা হত্যা মামলা পিবিআইকে পুণ:তদন্তের নির্দেশ
সোমবার ● ২ নভেম্বর ২০২০


কলাপাড়ার চম্পা হত্যা মামলা পিবিআইকে পুণ:তদন্তের নির্দেশ

আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

কলাপাড়ার চাঞ্চল্যকর নববধু চম্পা হত্যা মামলার অভিযোগপত্র (চার্জসিট) নামঞ্জুর করে পটুয়াখালী পিবিআইকে (পুলিশ ব্যুারো অব ইনভেস্টিগেশন) পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মামলার বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার (২ নভেম্বর) শুনানি শেষে কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শোভন শাহরিয়ার এ আদেশ দেন।
জানাগেছে, এ বছর ১ জানুয়ারি তালতলী উপজেলার কলারং গ্রামের চাঁন মিয়া সিকদারের কন্যা চম্পাকে পার্শ্ববর্তী কলাপাড়া উপজেলার চাকামুইয়া ইউনিয়নের গামরীবুনিয়া গ্রামের কাদের হাওলাদারের ছেলে বাবুল হাওলাদারের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের ১২ দিনের (১২ জানুয়ারী) মাথায় বন্ধুর বাড়ীতে বেড়াতে নেয়ার কথা বলে স্ত্রী চম্পাকে নিয়ে যান স্বামী বাবুল হাওলাদার ও অন্য আসামীরা। এরপর থেকে নববধূ চম্পা নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় চম্পার বাবা চাঁন মিয়া সিকদার বিগত ১৪ জানুয়ারী তালতলী থানার জামাতা বাবুলের বিরুদ্ধে সাধারণ ডারেয়ী করেন। নিখোঁজের ১০ দিন পর ২২ জানুয়ারী পুলিশ নববধু চম্পার স্বামী বাবুল হাওলাদারের বাড়ীর সন্নিকটে মাঠে মাটি চাপা দেওয়া অবস্থায় গলিত মরদেহ উদ্ধার করে।  এ ঘটনার চম্পার বাবা চাঁন মিয়া সিকদার বাদী হয়ে ওইদিন কলাপাড়া থানায় ঘাতক বাবুল হাওলাদারকে প্রধান আসামী করে ১১জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার দের মাস পর ৭মার্চ পুলিশ প্রধান আসামী ঘাতক বাবুলকে গ্রেফতার করে। ঘাতক বাবুল থানায় ও আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন। এ ঘটনার সাথে জয়নাল প্যাদা, রিপন সরদার, ময়না আক্তার ও রিনা বেগম জড়িত বলে জবানবন্দিতে ঘাতক প্রধান আসামী বাবুল হাওলাদার স্বীকার করেন। কিন্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ আসাদুর রহমান প্রধান আসামীর স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দিতে দেয়া আসামী এবং এজাহার নামীয় আসামীদের অব্যাহতি দিয়ে শুধু প্রধান আসামী বাবুলকে আসামী রেখে গোপনে ৯ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ওই অভিযোগ পত্রে উল্লেখ আছে প্রধান আসামী ঘাতক বাবুল হাওলাদার নিজের পরিকল্পনায় তিনি স্ত্রী চম্পাকে হত্যা করেছে। মামলার বাদী চাঁন মিয়া সিকদারের অভিযোগ ঘটনার পর থেকেই তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ আসাদুর রহমান আসামীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি করে আসছিল। এক পর্যায় তার কাছে দুই লক্ষ টাকা ঘুষ দাবী করেন। ওই টাকা না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হন তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরে তিনি আসামীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সকল আসামীদের অব্যাহতি দিয়ে প্রধান আসামী ঘাতক বাবুলের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছেন। ১১ অক্টোবর পুলিশের দেয়া অভিযোগপত্র বাতিল চেয়ে (নারাজি) পুরনায় তদন্তের জন্য কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে মামলার বাদী চাঁন মিয়া সিকদার আবেদন করেন। সোমবার ছিল ওই অভিযোগপত্রের নারাজির শুনানী। আদালতের বিচারক শোভন শাহারিয়ার শুনানী শেষে পুলিশের দেয়া অভিযোগপত্র নামঞ্জুর করে পটুয়াখালী পিবিআইকে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবি নাথুরাম ভৌমিক বলেন, নববধু চম্পা হত্যা মামলায় পুলিশের দেয়া চার্জসিট নামঞ্জুর করে পিবিআইকে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালতের বিচারক।

এমএইচকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৮:৫৮:৪২ ● ৩৭২ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ