জলাবদ্ধতার কবলে কুয়াকাটা পৌরসভা

প্রথম পাতা » কুয়াকাটা » জলাবদ্ধতার কবলে কুয়াকাটা পৌরসভা
শনিবার ● ২০ জুন ২০২০


জলাবদ্ধতার কবলে কুয়াকাটা পৌরসভা

কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥

অপরিকল্পিত নগরায়ণ, অনুমোদনহীন যত্রতত্র স্থাপনা, খালও জলাশয় দখলসহ যুগোপযোগী ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধার কবলে  পড়েছে কুয়াকাটা পৌরসভা। বিগত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেছে কুয়াকাটা পৌরভবনসহ পৌর শহরের আবাসিক হোটেলও  বসতভিটা। জমে থাকা পানির সাথে ময়লা আবর্জনা যুক্ত হয়ে দুগন্ধ ছড়াচ্ছে। জলাবদ্ধ পানিতে জন্ম নিচ্ছে মশা। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কৃষকের বীজতলা, সবজী ক্ষেত। মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। গোঁ খাদ্যাভাবসহ পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিবে এমন আশংকার কথা জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে,পৌরশহরের ৩নং ওয়ার্ডে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় অস্থায়ী পৌরভবন, আভ্যন্তরীন সড়ক, আবাসিক হোটেল, বাড়িঘর ২-৩ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি নিষ্কাসনের ব্যবস্থা না থাকায় দূর্ভোগে পড়েছেন ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। পয়ঃনিষ্কাসন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা জায়গা না রেখে অপরিকল্পিতভাবে বহুতল ভবন ও পাকা স্থাপনা নির্মাণের ফলে এমন দূর্ভোগে শিকার হচ্ছে এমনটা জানিয়েছেন পৌর কর্তৃপক্ষ। অপরদিকে মেয়র ও কাউন্সিলরদের সমন্বয়হীনতার কারণে ড্রেনেজ নির্মাণ হচ্ছে না বলে অভিযোগে জানিয়েছেন ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। ট্যুরিজম ব্যবসায়ী ও ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হোসাইন আমির বলেন, পৌর সভার আকার আকৃতি বৃদ্ধির সাথে সাথে বেদখলে গেছে খালও জলাশয়। হোসাইন আমির  আরোও বলেন, মাষ্টারপ্লান কুয়াকাটা’ অনুযায়ী এখনই উন্নয়ন না করলে স্থায়ী জলাবদ্ধতার কবলে পড়বে কুয়াকাটাবাসী।
ইলিশ পার্ক ইকো রিসোর্ট’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, পার্কসহ পার্শ্ববর্তী এলাকা গত এক সপ্তাহ ধরে প্রায়  ২ ফুট পানি নিচে। এতে তার পার্কের গাছপালা ও মাছের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এমন মানবসৃষ্ট দূর্যোগের কবলে পড়েছে তারা। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, পৌর মেয়র কাঊন্সিলরদের সমন্বয় হীনতার কারণে পৌরসভা গঠনের দশ বছরেও কাঙ্খিত নাগরিক সুবিদা পাচ্ছে না পৌরবাসী।
পরে এসব বিষয়ে কথা হয় পৌর মেয়র আব্দুল বারেক মোল্লার সাথে । তিনি বলেন, পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার জন্য ১৩ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। বর্ষার কারণে কাজে স্থবিরতা দেখা দিলেও অচিরেই এর সুফল পাবে পৌরবাসী।

কেএআর/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৮:৫০:৪৮ ● ৩৬৬ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ