তালতলীতে ক্ষেতেই নষ্ট তরমুজ, পথে বসেছে চাষী

প্রথম পাতা » বরগুনা » তালতলীতে ক্ষেতেই নষ্ট তরমুজ, পথে বসেছে চাষী
বুধবার ● ২৯ এপ্রিল ২০২০


তালতলীতে ক্ষেতেই নষ্ট তরমুজ

আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
বরগুনার তালতলীতে ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে তরমুজ। পথে বসতে চলছে চাষী হারুন। গত বছরের তুলনায় এই বছর তরমুজ চাষে ভালো ফলনের আশায় বুক বেঁধেছিলেন তিনি। কিন্তু করোনা ভাইরাস সংক্রামণে ফলে  তরমুজ ক্রয় করতে পাইকার না আসায় তার সেই আশায় গুড়েবালি। এদিকে বৃষ্টির কারণে ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে তরমুজ। তাই বড় ধরনের লোকসানের আশঙ্কায় পড়েছেন চাষী হারুন অর রশিদ।
জানা গেছে, উপজেলার কবিরাজপাড়া গ্রামের চাষী হারুন অর রশিদ বিভিন্ন এনজিও এবং ব্যক্তির কাছ থেকে ঋণ নিয়ে এ বছর ৮ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেন। ক্ষেতে গত বছরের তুলনায় ভালো ফলনও ধরেছে। ভালো ফলনে চাষী হারুনের মুখে আনন্দের হাসি ফুটেছিল।  কিন্তু করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারনে সঠিক সময়ে তরমুজ ক্রয় করতে পাইকার না আসায় হতাশ হয়ে পড়েছেন। ফলে কয়েক লক্ষ টাকা লোকসান গুনতে হবে তাকে। এদিকে লকডাউনের কারনে সাপ্তাহিক ও দৈনিক হাটগুলোতে নেই খুচরা ক্রেতা। আর বৃষ্টির কারণে রাস্তাঘাটের যোগাযোগের খুবই বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে পথে বসতে চলেছেন তরমুজ চাষী হারুন। এতে করে তার পরিবারেও চলছে হাহাকার।
বুধবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, হারুন অর রশিদের ৮ একর জমির তরমুজের ক্ষেতে পাকা তরমুজগুলো নষ্ট হতে চলছে। অসময়ে বৃষ্টি আর করোনা ভাইরাসের কারনে সঠিক সময়ে বাজারজাত করতে না পারায় ক্ষেতেই তরমুজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
চাষী হারুন অর রশিদ কান্না জনিত কন্ঠে বলেন, বিভিন্ন এনজিও ও ব্যক্তির কাছ থেকে ঋণ নিয়ে ৮ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছিলাম। এখন করোনা ভাইরাসের কারণে তরমুজ বিক্রি করতে না পেরে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কায় আছি। এখন নতুন করে বৃষ্টির কারণে ক্ষেতেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তরমুজ। তাই পরিবার নিয়ে এখন পথে বসতে হচ্ছে আমাকে। তাই প্রশাসনের কাছে ক্ষেতের  তরমুজগুলো বাজারজাত করনের দাবী জানাই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নিজাম মীর বলেন, চাষী হারুন এখন পথে বসে গেছে। ওর সব কিছু দিয়েই তরমুজ চাষ করছিলো। ফলনও ভালো হয়েছিলো। এখন করোনা ভাইরাস ও বৃষ্টির কারনে ক্ষেতেই তরমুজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
তালতলী কৃষি অফিসার আরিফুর রহমান বলেন, তরমুজ চাষী হারুন অর রশিদের তরমুজ ক্ষেত পরিদর্শন করে যে ক্ষয়ক্ষতি দেখেছি তার রির্পোট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে ও তাকে সরকারীভাবে সাহায্য করা হবে। আর ক্ষেতে যে তরমুজ আছে সেগুলো বিক্রির জন্য সহযোগিতা করা হবে।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তাইন বিল্লাহ স্যারের সাথে আলোচনা করে ওই চাষির জন্য যা করনীয় তা করার চেষ্টা করা হবে।

এইচএকে/এনবি

বাংলাদেশ সময়: ১৫:৫৬:৫১ ● ৩৬২ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ