মহিলা মেম্বারের কারাদণ্ড বাউফলে ইউপি চেয়ারম্যানদের দুই দফা বৈঠক

প্রথম পাতা » ঝালকাঠী » মহিলা মেম্বারের কারাদণ্ড বাউফলে ইউপি চেয়ারম্যানদের দুই দফা বৈঠক
বৃহস্পতিবার ● ১৬ এপ্রিল ২০২০


---

বাউফল সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পটুয়াখালীর বাউফলে কেশবপুর ইউনিয়নের এক মহিলা মেম্বারকে চার বস্তা ত্রাণের চাউল বিক্রির অভিযোগ এনে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া অযৌক্তিক ও অনাকাঙ্খিত দাবি করে ত্রাণ কার্যক্রমে চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের অংশ নেবেন কী নেবেন না এমন প্রশ্ন সৃষ্টি হওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানগণ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে ভিন্ন ভিন্ন সভা করেছেন। আজ বৃহষ্পতিবার দুপুরে এই সভা দুটি হয়।
একাধিক চেয়ারম্যান জানান, দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ একত্রিত হয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল মোতালেব হাওলাদারের অফিসে সাক্ষাৎ করে কেশবপুর ইউনিয়নের (১,২,ও ৩ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ড) মহিলা মেম্বার লিপি আখতার সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক মাষ্টার রোল সহ ২২ জনের মধ্যে ৯ জনের চাউল বিতরণ করে বাকি চাউল বিকেলে দেবন বলে গোসল করতে যান বলে জানান। কিন্তু বাউফলের সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. আনিচুর রহমান বালি সরকারি চাউল ঘরে রাখার দায়ে তাকে গ্রেপ্তার করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন। এরফলে বাউফলের জনপ্রতিনিধিদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। এমতাবস্থায় চেয়ারম্যানম্যান ও মেম্বারগণ ত্রাণের কাজে অংশ না নিয়ে সংশ্লিষ্ট ট্যাগ অফিসারকে সার্বিক সহায়তার করা হবে বলে জানান।  এ সময় ভাইস চেয়ারম্যান মোসারেফ হোসেন খান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মরিয়ম বেগম নিশু উপস্থিত ছিলেন। বিস্তারিত জানার পর উপজেলা চেয়ারম্যান বিষয়গুলো উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করার জন্য পরামর্শ দেন। পরে বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে চেয়ারম্যানগণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেনের অফিসে গিয়ে বিস্তারিত জানান। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিপি আখতারের ঘটনাটি অনাকাঙ্খিত ও সমন্বয়হীতা বলে উল্লেখ করেন এবং ভবিষ্যতে সকলের সাথে সমন্বয় করে ত্রাণের কাজ করা হবে বলে চেয়ারম্যানদের আস্বস্থ করেন। এসময় খাদ্য গুদাম থেকে সঠিক মাপে চাউল দেয়া এবং পরিবহন খরচ নিয়েও আলোচনা হয়। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, এখানে ত্রাণের কার্যক্রম নিয়ে কথা হয়েছে। লিপি আখতারের বিষয় নিয়ে কোন আলোচনা হয়নি। উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল মোতালেব হাওলাদার বলেন, চেয়ারম্যানদের সাথে লিপি আখতারের ঘটনাসহ ত্রাণ কার্যক্রম পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করতে বলেছি। এদিকে বৃহষ্পতিবার বিকেলে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম সম্পর্কে সরেজমিন দেখতে পটুয়াখালী র‌্যাব-৮ এর একটি দল কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদে গেছেন বলে জানা গেছে। ওই ইউপির চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন খান লাভু জানান, র‌্যাবের টীম এসে সকর কাগজপত্র ও ত্রাণ বিতরণ পদ্ধতি দেখে সন্তোষ্ট হয়েছেন।

এপি/এনইউবি

বাংলাদেশ সময়: ১৭:২৬:৪০ ● ৮৯৩ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ