দুমকি (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পটুয়াখালীর পাতাবুনিয়া নদীর তীরবর্তি বাহেরচর মৌজায় জেগে ওঠা চরে বন্দোবস্তের সরকারী খাস জমিতে অবৈধ ইটভাটা নির্মাণ করা হচ্ছে। কার্ডহোল্ডার (বন্দোবস্ত প্রাপ্ত) ৭/৮জন কৃষকের অন্তত: ৫ একর জমি জবর-দখল করে স্কাভেটর মেশিন দিয়ে চলছে মাটি কাটার কাজ। গড়ে তোলা হচ্ছে সুউচ্চ মাটির স্তুপ। প্রকাশ্য দিবালোকে এমন দখল-দাড়িত্বের অবৈধ ইটভাটা নির্মান করার কাজ চললেও প্রশাসন রয়েছে নির্বিকার। অভিযোগ রয়েছে, অর্থ-বিত্ত আর পেশীশক্তির জোড় খাটিয়ে থানা পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই দ্রুততার সাথে চলছে অবৈধ ইটভাটার নির্মাণ কাজ।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, উপজেলার জেএল-৫৩ বাহেরচর মৌজায় সরকারী বন্দোবস্তের অন্তত: ৫একর খাস জমি জবর-দখল করে অবৈধভাবে ইটভাটা তৈরীর চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে পাতাবুনিয়া এলাকার মজিদ হাওলাদারের ছেলে ধনাঢ্য বাচ্চু হাওলাদার ও লাভলু শরীফ নামের দুই প্রভাবশালী ব্যক্তি। তারা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে পেশীশক্তির জোড় খাটিয়ে ইটভাটাটি নির্মাণ করতে শুরু করেছেন। প্রশাসনিক অনুমোদন ও পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়াই তারা চরের বন্দোবস্ত প্রাপ্ত মালিকদের জমি জোড় পূর্বক দখল করে স্কাভেটর দিয়ে মাটি কেটে সুবিশাল স্তুপ গড়ে তুলছে।
কার্ডহোল্ডার বাহেরচর মৌজার বাসিন্দা মো: নাসির উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে মো: জিয়াউর রহমান অভিযোগ করেন, বাচ্চু হাওলাদার ও লাভলু গায়ের জোড়ে আমাদের জমিজমা দখল করে নিয়েছে। একই এলাকার বাসিন্দা মাওলানা আবদুল খালেকের ছেলে মো: কাইয়ুম অভিযোগ করে বলেন, চরে ইটভাটা নির্মাণে বাঁধা দিতে গেলে মেরে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন ওই প্রভাবশালীরা।
নির্মাণাধীণ ইটভাটার মালিক বাচ্চু হাওলাদার অবশ্য অবৈধ দখল-দাড়িত্বের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি তাদের রেকর্ডিও জমিতে ইটভাটা নির্মাণ করছেন দাবি করে বলেন, প্রচলিত নিয়মের সকল বিধিবিধান অনুসরণ করেই কাজ শুরু করা হয়েছে। প্রশাসনিক অনুমতি ও পরিবেশগত ছাড়পত্র নেয়া আছে। কার্ডহোল্ডারদের কোন প্রকার হুমকি-ধমকি দেয়া হয়নি বলে দাবি করেছেন।
এবিষয়ে দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মনিরুজ্জামান বলেন, এ উপজেলায় ভূমি জবর-দখলের কোন সুযোগ নেই। ম্যানেজ হওয়ার প্রশ্ন অবান্তর। আমার অগোচরে কোথাও এমন ঘটনা ঘটলে তা তদন্ত করে অভিযুক্তে বিরুদ্ধে কঠর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল-ইমরান বলেন, অবৈধ ইটভাটা নির্মাণের খবর পেয়ে সরেজমিন পরিদর্শণ করে তাদের নিষেধ করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠর পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এমআর