
সাগরকন্যা প্রতিবেদক, কুয়াকাটা (পটুয়াখালী)
কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের সৌন্দর্য ম্লান করে দিয়েছে ছোট ছোট ঝুপড়ি ঘর। অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা এসব স্থাপনায় হারিয়ে গেছে ‘সাগরকন্যা’ খ্যাত পর্যটন কেন্দ্রটির প্রাকৃতিক রূপ।
সৈকতের পাশের বেড়িবাঁধ ও তার আশপাশে গড়ে উঠেছে টিনের চালের শত শত ঝুপড়ি ঘর। এর কোনোটিতে অবৈধভাবে বসবাস করছে, আবার কোনোটির সামনে বাড়তি ছাউনি লাগিয়ে বসানো হয়েছে দোকান। এসবের মধ্যে চা-পান-সিগারেট, ফাস্টফুড কর্ণার ও নানা ধরনের সামগ্রীর ছোট ছোট দোকান রয়েছে। এতে যেমন চোখে অস্বস্তিকর লাগে, তেমনি পরিবেশও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে দাবি পর্যটকসহ সচেতন মহলের।
ঢাকার ঠাঠারিবাজারের ব্যবসায়ী জসীম পারভেজ পরিবার নিয়ে তিন দিনের সময় নিয়ে ভ্রমণে এসেছেন কুয়াকাটায়। বলেন ‘এত সুন্দর একটি সৈকত; কিন্তু ছোট ছোট দোকানঘর বসিয়ে পুরো পরিবেশটাই নষ্ট করে ফেলেছে। আগে যেখানে বসে সমুদ্র দেখা যেত, এখন সেখানে তাকালে ঝুপড়ি ঘরগুলোই চোখে পড়বে!’ স্থানীয় সাংবাদিক ও পর্যটন উদ্যোক্তা হোসাইন আমীর বলেন, রাজনৈতিক ছত্রছাড়ায় গড়ে ওঠা এসব ঘর কুয়াকাটার সৌন্দর্য কেবল নষ্ট করছে না, ক্রমে কুয়াকাটা থেকে পর্যটকদের মুখ ফিরিয়ে নেবার আয়োজন চলছে। তার মতে, এসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের নির্দিষ্ট স্থান বরাদ্দ দেওয়া হলে পর্যটনের পরিবেশ বজায় থাকবে।

কুয়াকাটায় পর্যটন শিল্প বিকাশে যেসব সংগঠন রয়েছে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাদের মতে আসন গেড়ে বসা ঝুপড়ি ঘরগুলো প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় থাকায় উচ্ছেদ করতে গিয়েও প্রশাসন বাধার মুখে পড়েছে। ফলে পর্যটনবান্ধব পরিবেশ ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ প্রতিবারই হোচট খেয়েছে।
এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, খাস জমি উদ্ধারে মাননীয় ভূমি উপদেষ্টার নির্দেশনা রয়েছে। জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে অচিরেই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে পর্যটনের পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হবে।